তারেক রহমানের বক্তব্য অপসারণের আবেদনকে ঘিরে আদালতে হট্টগোলের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রাজনীতির কারণে আদালতকে কলুষিত করা যাবে না। আদালতের মর্যাদা কেউ ক্ষুণ্ন করবেন না, সব পক্ষের কাছে আমার এ আহ্বান থাকবে।
আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী একথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর আদেশ দেয়াকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের এজলাস কক্ষে হট্টগোল ইস্যুতে তিনি বলেন, আমি সব পক্ষের কাছে আবেদন করি, আদালতের মর্যাদা যেন কেউ হানি না করে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে আদালত থাকবে। আমরা আইনজীবীরা সবাই অফিসার অব দ্য কোর্ট।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের কাছে আহ্বান জানাব, রাজনীতির কারণে আদালতকে কলুষিত করাটা ঠিক হবে না। তাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলোর সাজা সাইবার আইনের আওতায় দেয়া যায় কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সাইবার আইনে চারটি ধারা বর্তমানে জামিন অযোগ্য রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধারায় শাস্তিও কমানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ “ড. ইউনূস ইস্যুতে সরকার চাপে নেই”
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল আইনের করা মামলাসমূহ, এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে পরিচালিত হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলবৎ থাকার সময় অপরাধ করলে সেই আইন অনুসারে সাজা হবে। তবে আগের আইনে মামলা হলেও, বর্তমান সাইবার নিরাপত্তা আইন অনুসারে কীভাবে সাজা দেয়া যায়, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজার মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে যেহেতু সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে, সে কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজার মামলা যখন আপিল বিভাগে উঠবে, তখন তিনি বর্তমান আইন অনুসারে সাজা কমানোর আবেদন করতে পারবেন।