করোনাভাইরাসের কারণে চলছে লকডাউন। এমন অবস্থায় বিয়ে করা সম্ভব নয়। কিন্তু তাদের ইচ্ছে যে বিয়ে করা! সেই ইচ্ছের কি হবে?
বর-কনের ইচ্ছে ছিল বিয়ে করবেন ২৫ শে বৈশাখ। পূর্বের ইচ্ছা অনুযায়ী ২৫ বৈশাখেই বিয়ের পুরোটাই সম্পন্ন হয়েছে জুম অ্যাপে।মালাবদল ও সিঁদুরদানের অনুপস্থিতিতেই বিয়ে সেরেছেন তারা।
অনলাইনে বিয়ে হওয়া এ দম্পতি হলেন- ভারতের মধ্যগ্রামের বিশ্বজিৎ রায় আর বনগাঁর শ্রাবন্তী মজুমদার।
বিশ্বজিতের বাবা পুরোহিত নিয়ে নিজ বাড়িতেই সারা দিন না খেয়ে রাত ৮টার শুভক্ষণে ছেলের বিয়ে দিতে বসেন। অন্যদিকে হবু বরের পছন্দের লাল-হলদেটে ঢাকাই শাড়ি পরে বনগাঁ থেকে মা আর দাদাকে পাশে নিয়ে বসেছিলেন শ্রাবন্তী।
আর গুরুগ্রামে একা নেহাতই একটা স্যান্ডো গেঞ্জি চড়িয়ে টোপর ছাড়াই বিয়ে করতে বসেছিলেন বিশ্বজিৎ। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারিত হলো। বর আর বউ বুকে হাত দিয়ে মন্ত্র পড়লেন। অ্যাপের মাধ্যমে একসাথ হয়ে করে ফেললেন বিয়ে।
এ বিষয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম যা হয় হোক, গাড়ি নিয়ে কলকাতা যাব! এত দিনের প্ল্যান! আমাদের বিয়ে হবে না? খুব আপসেট হয়ে গিয়েছিলাম। শেষে ভাবলাম, সব কাজ এখন টেকনোলজির মাধ্যমে হচ্ছে, বিয়ে কেন হবে না? যেমন কথা তেমনই কাজ। শ্রাবন্তীর বাড়ি থেকেও সকলে রাজি! অফিসের কাজ নয়। এ বার জুমেই বিয়ে হলো পঁচিশে বৈশাখ।’
শ্রাবন্তী বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, জীবনের এমন একটা কাজ শেষে জুমে করতে হবে? পরে মন বদলাই বিশ্বজিতের ইচ্ছেতেই। জুমে বিয়ে করতে রাজি হই। ওর খুব ইচ্ছে ছিল, লাল আর হলদে পাড়ের শাড়ি পরে ওর সামনে আসি। বাড়িতে ওই রকম একটা নতুন শাড়িই ছিল, সেটা পরেই বসলাম।’