ডেক্সামেথাসোন নামে সস্তা ও সহজলভ্য একটি ওষুধ করোনার প্রথম কার্যকরী ওষুধ বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। তবে কেবল গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
গত বুধবার ডব্লিউএইচও -এর প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস একথা জানান।
এ বিষয়ে তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় অবশেষে গবেষণা “আশায় সবুজ অঙ্কুর” হয়ে এসেছে। অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটর সাপোর্টে থাকা কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুর হার হ্রাস করা দেখানো প্রথম চিকিৎসা এটিই।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ডেক্সামেথাসোন করোনাভাইরাসের হালকা লক্ষণযুক্ত রোগীদের সাহায্য করে না। যাদের শ্বাস নিতে সমস্যা হয় না তাদের এ ওষুধ দরকার নেই।
এদিকে, ডেক্সামেথাসোন এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জীবন বাঁচাতে সক্ষম প্রথম ড্রাগ হিসাবে প্রমাণিত হওয়ার পর বিভিন্ন দেশ পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধটি মজুদ রাখাটা নিশ্চিত করতে শুরু করেছে। তবে মেডিকেল কর্মকর্তারা বলছেন, ওষুধটির কোনো ঘাটতি নেই।
ডব্লিউএইচওর জরুরি কর্মসূচির প্রধান মাইক রায়ান এক ব্রিফিংয়ে জানান, ওষুধটি কেবল সেই সব গুরুতর ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা উচিত যেখানে এটি সাহায্য করতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে।