শুভ জন্মদিন ফুটবলের ছোট্ট জাদুকর!


messsi


আজ থেকে ঠিক ৩৩ বছর আগে ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন তারিখে রোজারিও শহরে জন্মগ্রহণ করেন এক শিশু। যার নাম – লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কুচেত্তিনি।

রোজারিওর সেই ছোট্ট মেসি এখন বিশ্ব ফুটবলের বড় জাদুকর। ছোটখাটো গড়নের বড় জাদুকরের আজ ৩৩তম জন্মদিন। নিজের বাঁ পায়ের জাদুতে যিনি বশ করেছেন গোটা ফুটবল বিশ্বকে।

ফুটবল ক্যারিয়ারে মেসির প্রাপ্তি ও সাফল্যের শেষ নেই। অপ্রাপ্তি বলতে শুধু নিজ দেশ আর্জেন্টিনার হয়ে বড় কোন শিরোপা জিততে না পারা। এর খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন মেসি।

২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকায় দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। কিন্তু তিন ফাইনালের একটিতেও শেষ হাসি হাসতে পারেননি মেসি।

তিনবারই আটকা পড়েছেন শেষ বাধায়। তবে ব্যক্তি খেলোয়াড় হিসেবে মেসি ছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল, ২০১৫ সালের কোপায় টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৪ বার জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

আর্জেন্টিনা দলের হয়ে তার গোলসংখ্যা ৭০। ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। শীর্ষ পর্যায়ে ১৩৮ ম্যাচ খেলে ৭০ গোল করেছেন মেসি।

বার্সেলোনা তো বটেই স্প্যানিশ ক্লাব ফুটবলের সকল রেকর্ডও রয়েছে মেসির দখলে। এখনও পর্যন্ত বার্সেলোনার হয়ে ৭২২ ম্যাচ খেলে করেছেন ৬২৯টি গোল। একইসঙ্গে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক এসিস্ট। স্প্যানিশ লা লিগায় ৪৪০ গোল ও ১৭৭ এসিস্ট- দুটিই রেকর্ড।

স্পেনের ক্লাবটির হয়ে দেড় দশকের ক্যারিয়ারে ১০টি লা লিগা, ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ৬টি কোপা দেল রেসহ মোট ৩৪টি শিরোপা জিতেছেন মেসি। চলতি মৌসুমে সুযোগ রয়েছে ট্রফির সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নেয়ার।

ব্যক্তিগত অর্জনেও মেসির সমানে নেই বিশ্বের আর কোন ফুটবলার। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি জিতেছেন ছয়টি ব্যালন ডি অর এবং ছয়টি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট। এর বাইরে স্পেনের ঘরোয়া ফুটবলের অজস্র পুরস্কার রয়েছে মেসির ট্রফি কেবিনেটে।

সবমিলিয়ে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে মেসির গোলসংখ্যা এখন ৬৯৯ (৭০+৬২৯)। আর মাত্র একটি গোল হলেই পেশাদার ক্যারিয়ারে ৭০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন মেসি।