শ্রীলংকা মূল্যস্ফীতি নিযন্ত্রণে সফল হচ্ছে-বাংলাদেশ সেই তুলনায় পিছিয়ে আছে-এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, শ্রীলংকা আর আমাদের অবস্থাটা ভিন্ন। শ্রীলংকার বড় যে আয় সেটা হলো পর্যটন খাত। সেটা তারা পুনরুদ্ধার করেছে বলে তারা উন্নতি করছে। পাশাপাশি ছোট দেশ, সেজন্য তারা উতরে গেছে। আমাদের তো বড় একটা দেশ। আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলছে।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ বিজনেস ডেলিগেটদের সাথে এক গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
বাজারে সিন্ডিকেট আছে-এ ধরনের কথা বলেননি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তবে, বাজারে পণ্যের ঘাটতি হলে-অনেকে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুনঃ রাজনীতির কারণে আদালতকে কলুষিত করা যাবে না: আইনমন্ত্রী
‘বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সম্ভব নয়’ এভাবে উল্লেখ করে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক এব্যাপারে সরকার প্রধানের মতামত জানতে চান। এ বিষয়ে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি বলেন,সিন্ডিকেট আছে, সিন্ডিকেট ভাঙ্গবো- এ ধরনের কথা তো আমি বলেনি। আমি বলেছি যে, বাজারে যখন ক্রাইসিস তৈরি হয়, তখন হঠাৎ করে জেল-জুলুম দিলে- মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। আমি এটাই বলেছিলাম। আলোচনা করে আমরা ব্যবস্থা নিতে চাই।
তিনি বলেন, দেশে যখনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে তখন তা নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। ভোক্তা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ হবে এটাই আমরা চাই। এ লক্ষ্যে আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিয়ে বাজার মনিটরিং করে থাকি। অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অনেককে জেল জরিমানা করা হচ্ছে। কখনো কখনো আমাদের লোকবল কম হওয়ার কারণে কিছুটা শ্লথ হয়। আমি এ কথাটা বলেছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।