ভারতে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি গ্রামে ঢুকে সাধারণ মানুষকে নিশানা করেছে পাক রেঞ্জার্সরা। শুক্রবার রাতভর গোলাগুলিতে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে মৃত্যু হয়েছে ৩ ভারতীয় নাগরিকের।
পুঞ্চের ডেপুটি কমিশনার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুক্রবার পুঞ্চ জেলার গুলপুর সেক্টরে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। পাক সীমান্ত থেকে গোলা ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করে পাকসেনা। এর ফলে তিন জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক জন।
অন্যদিকে, শনিবার কাকভোরে জম্মু কাশ্মীরের সোপিয়ানের আমসিপোড়া গ্রামে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এ দিন তল্লাশি চালিয়ে ৩ সন্ত্রাসবাদীকে খতম করে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী। সেনার ৬২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ছাড়াও এতে অংশ নেয় সিআরপিএফ ও কাশ্মীর পুলিশ। আমসিপোড়া গ্রামে কয়েকজন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে শেষরাতে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী গ্রামটি ঘিরে ফেলে। এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কাশ্মীর উপত্যকায় এ নিয়ে দু’বার জঙ্গি-বাহিনী সংঘর্ষ হল। শুক্রবার ভোরে কুলগাম জেলার নাগনাদ চিমার এলাকায় ৩ জৈশ ই মহম্মদ জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হয়।
শনিবার সকালে সেনা আধিকারিকের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ২১ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে বার্ষিক অমরনাথ যাত্রা। আর এই অমরনাথ যাত্রা লক্ষ্য করে হামলা চালানোর ছক কষেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। দক্ষিণ কাশ্মীরে আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে ব্রিগেডিয়ার বিবেক সিং ঠাকুর জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে, যাত্রা নষ্ট করার জন্যে সব রকম চেষ্টা চালাবে জঙ্গিরা। কিন্তু আমাদের কাছেও এর জবাব ফিরিয়ে দেওয়ার মত পরিকাঠামো এবং সেনাবল রয়েছে। অমরনাথ যাত্রা যাতে শান্তিতে এবং নিরাপদে সম্পন্ন হয় তা সুনিশ্চিত করব। যাত্রায় কোনও বাধা আসতে দেওয়া হবে না। ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক থাকবে না।’
জম্মু কাশ্মীর-সহ পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া সব এলাকায় জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে নজরদারি দ্বিগুণ করেছে সেনাবাহিনী। ছে তারা।
সুত্র: এই সময়।