স্ত্রীকে হত্যা করতে খুনিদের তিন লাখ টাকা দেন এসপি বাবুল: পিবিআই


স্ত্রীকে হত্যা করতে খুনিদের তিন লাখ টাকা দেন এসপি বাবুল: পিবিআই


একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তিনি স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। এ জন্য সোর্সের (তথ্যদাতা) মাধ্যমে তিনি তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন তিনি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে। পিবিআইয়ের তদন্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে অভিযোগপত্র দাখিলের পক্ষে গতকাল মঙ্গলবার মত দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি। আগামী সপ্তাহে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারে বলে জানা গেছে।

সংস্থাটির তদন্তে বলা হয়, স্ত্রী হত্যার তিন দিন পর বাবুল তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হককে তাঁর লাভের অংশ থেকে তাঁকে তিন লাখ টাকা দিতে বলেন। সাইফুল ওই টাকা বিকাশের মাধ্যমে গাজী আল মামুনকে পাঠান। আল মামুন ওই টাকা এহতেশাম, ওয়াসিমসহ আসামিদের মধ্যে ভাগ করে দেন। গত বছরের ১১ মে সাইফুল ও মামুন আদালতে সাক্ষী হিসেবে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

পিবিআইয়ের প্রস্তুত করা অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাবুল কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক হয়। ওই নারী তখন যে বাসায় থাকতেন, সেই বাসার নিরাপত্তাকর্মী সরওয়ার আলম ও গৃহকর্মী পম্পি বড়ুয়া গত ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। এতে দুজনই কক্সবাজারে ওই নারীর বাসায় বাবুলের যাতায়াতের বর্ণনা দেন।

এ বিষয়ে মামলার এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগপত্রে বাদী বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। এতে সাক্ষী রাখা হয়েছে ৯৭ জন। আগামী সপ্তাহে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হবে।

এদিকে পিবিআইয়ের তদন্ত সমর্থন করে মাহমুদার বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, ওই নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে বাবুল প্রায়ই তাঁর মেয়েকে নির্যাতন করতেন। বিষয়টি নিয়ে তখন পারিবারিকভাবে সালিস বৈঠকও হয়। মৃত্যুর আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে চান তিনি।