বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ হবে। এ নিয়ে মনে কেউ দ্বিধা রাখবেন না। ১০ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে। সেই কর্মসূচি নিয়ে জনগণ মাঠে নেমে পড়বে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সমাবেশ থেকে মানুষ নতুন স্বপ্ন দেখবে। জনগণের সরকার যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই কাজ করবে তারা ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার সচেতনতার সঙ্গে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। ব্যাংক লুটপাট করে ছারখার করে দিয়েছে। দেউলিয়ার পথে দেশ। মানুষ যেভাবে জেগে উঠেছে, তাতে আমাদের জয় হবেই। বিজয়ের পর আন্দোলনকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে পত্রপত্রিকায় দেখেছি, বিভিন্নভাবে খবর পেয়েছি, প্রায় ২০০টা বাস বিভিন্নভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এটা অসমর্থিত কিছু সূত্র থেকে পাওয়া খবর। ইতিমধ্যে কিছু আলামত আমরা পেয়েছি। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী কিছু সন্ত্রাসীকে প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় নামিয়ে দিয়ে সেখানে তারা (আওয়ামী লীগ) সন্ত্রাস প্রতিরোধ করবে। তখন থেকেই এ ব্যাপারে আমরা সচেতন হয়েছি, সজাগ হয়েছি।
আরও পড়ুনঃ
২০৫০ সালের মধ্যে দেশের সোয়া কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে: ডব্লিউএইচও
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা যে দাবি নিয়ে সমাবেশ করছি সেটা জনগণের দাবি। এ কারণে সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীর চেয়ে সাধারণ জনগণের উপস্থিতি বেশি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা যাতে সমাবেশ করতে না পারি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে। তবে আমাদের ভয়ভীতি কেটে গেছে। আমরা আমাদের সমাবেশ করব। এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সরকার যত কিছুই করুক না কেন, সমাবেশ আমরা করব।’