টাঙ্গাইলে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। ২০০৪ সালের এই মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে এ রায় দেন বিচারক। এ সময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেন তিনি।
দণ্ডিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন, ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সেজনু মিয়া ও মিজানুর রহমান, একই গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মুনসুর আলী এবং গঙ্গাবর গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে জামাল ফকির।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশলী (পিপি) এস আকবর খান জানান, ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামে আসামিরা পাশের একটি জমিতে জোরপূর্বক দখল নিয়ে চাষাবাদ করতে যান। এ সময় জমির মালিক আব্দুর রহিম তাদের বাধা দিলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহত অবস্থায় আব্দুর রহিমকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ ডিসেম্বর আব্দুর রহিম মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. সুলতান মিয়া ২০০৫ সালের ৩ জানুয়ারি ধনবাড়ী থানায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ধনবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর মামলার আসামি ময়েজ উদ্দিন মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পিটিয়ে হত্যা মামলার রায়-এ দণ্ডিত সেজুন মিয়া পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।