অধ্যক্ষের নির্দেশে নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করা হয়: পিবিআই


feni burn student @paperslife


ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা প্রত্যাহার না করায় নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে তা জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই।

সাংবাদিকদের পিবিআই জানিয়েছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বোরখা পরিহিত চারজন ভবনের ছাদে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়। এর মধ্যে কমপক্ষে একজন মেয়েও ছিলো। হত্যাকাণ্ড পরিচালনায় এখন পর্যন্ত দুজন মেয়েসহ ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। নুসরাত হত্যা মামলার সাত আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।

পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দুটি কারণে নুসরাতকে হত্য করা হয়। এর একটি আলেম সমাজকে হেয় করা। অপর কারণটি হচ্ছে আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমের (২০) প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান।

শামীমকে শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নূর উদ্দিনের মতো শামীমও ছিলেন অধ্যক্ষ সিরাজের ঘনিষ্ঠ।

পিবিআই জানিয়েছে, হত্যার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত নুর উদ্দিন।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে নুসরাতকে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় নিয়ে যান তার বড় ভাই। তাকে কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিয়ে ভাই বাড়ি যান।

পরীক্ষা শুরুর আগে মাদ্রাসায় কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিলে তিনি মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।