৩৬ বছরের অধরা ট্রফিটি ফের ঘরে তুলল আর্জেন্টিনা। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়েমে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়লো আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির হাত ধরে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো লাতিন আমেরিকার দেশটি।
রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে মূল ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র হলে শিরোপার ভাগ্য গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। যেখানে আলবিসেলেস্তেদের জয় ৪-২ ব্যবধানে।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্দময় ফুটবল খেলছিলো আর্জেন্টিনা। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। মেসিদের গতিময় আক্রমণ সামলাতে খাবি খাচ্ছিল ফ্রান্সের রক্ষণ। ম্যাচের ৩৬ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মেসিরা।
কিন্তু মাত্র এক মিনিটে খেলার গতিপথ পালটে যায়। ৮০ ও ৮১ মিনিটে দুটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলের সমতায় শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
মেসির নৈপুণ্যে ১০৮ মিনিটে আবার ফিরে পায় আলবিলেস্তেরা। কিন্তু ১২০ মিনিটের ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র দুই মিনিট আগে আবার দুঃস্বপ্ন হয়ে আর্জেন্টিনার সামনে দাঁড়ান এমবাপ্পে। পেনাল্টি থেকে গোল করে তিনি দলকে ফেরান সমতায়। শেষ পর্যন্ত দুদলের শিরোপার ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে।
পেনাল্টিশুটআউটের শুরুতে অবশ্য ফ্রান্সকে লিড এনে দিয়েছিলেন ১৯৬৬ সালের পর বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা এমবাপ্পে। বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসিও। কিন্তু ভুল করেন দুই ফরাসি অরলিঁয়ে চুয়ামেনি ও কিংসলে কোম্যান। চুয়ামেনির শট থাকেনি লক্ষ্যে, আর ক্যোমানের শট বামে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। অন্যদিকে ফরাসি গোলরক্ষককে পরাস্ত করে পাওলো দিবালা, লিয়ান্দ্রো পারেদেস ও গঞ্জালো মন্টিয়েল টানা গোল তুলে নেন। কোলো মুয়ানি জালের দেখা পেলেও সে গোল আসেনি কাজে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে নেয় আলবিসেলেস্তেরা।
আরও পড়ুনঃ তৃতীয় স্থান ক্রোয়েশিয়ার