এফএ কাপের সেমিফাইনালে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার রাতে (১৮জুলাই) আর্সেনালের কাছে ০-২ গোলে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ভ্রত্মান চ্যাম্পিয়নরা।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মাঠের লড়াইটা আসলে ছিল সিটি বনাম আর্সেনাল। পেপ গার্দিওলা বনাম মিকেল আর্তেতা। দুই স্প্যানিশ কোচের লড়াইয়ে নবীন আর্তেতা রণকৌশলে হারিয়ে দিয়েছেন তার বিখ্যাত প্রতিপক্ষকে। কৌশলটা খুব সাধারণ। আর্তেতা জানতেন সিটি খেলবে পজেশন নির্ভর হাই-প্রেসিং ফুটবল। সুতরাং রক্ষণটাকে দারুণ সাজিয়েছিলেন তিনি।
৫-৩-২ ফর্মেশনে দুর্গ গড়ে রেখেছিলেন তিন সেন্টার ব্যাক রেখে। সঙ্গে অবামেয়াংয়ের নেতৃত্বে ক্ষুরধার প্রতিআক্রমণ। এতেই অকার্যকর হয়ে গেল সিটির যত আক্রমণ।
আক্রমণ যদি ক্ষুরধার না হয়, না হয় লক্ষ্যভেদী, বলের দখল রেখে যে কিছু হয় না তার প্রমাণ পাওয়া গেল আবারও। পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে সিটির বল দখল ছিল শতকরা ৭১ ভাগ, আর্সেনালের ২৯। সিটি গোলে শট নিয়েছে ১৬টি, যেখানে লক্ষ্যে ছিল মাত্র একটি শট। আর উল্টোদিকে আর্সেনালের চারটি গোলমুখী শটের চারটিই ছিল লক্ষ্যে, দুটি থেকে এসেছে দুটি গোল। প্রথম ১৫ মিনিট পর্যন্ত তো সিটির বল দখল ছিল ৯০ শতাংশ।
কিন্তু এই চাপ কী অসাধারণভাবেই সামাল দিয়েছে আর্সেনালের রক্ষণ। রক্ষণের নেতা কিন্তু সেই ডেভিড লুইজ, লকডাউনের পর আবার প্রিমিয়ার লিগ শুরু হতে যার দোষে সিটির কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল আর্সেনাল। একটি আত্মঘাতী গোল করেছিলেন, পেনাল্টি উপহার দিয়ে লালকার্ড দেখেছিলেন।
লুইজের পাশে এদিন অবশ্য সবাই অসাধারণ খেলেছেন শখোদ্রান মুস্তফি, নিকোলাস পেপে, গ্রানিত জাকা এবং অবশ্যই টায়ারনি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে আর্সেনালের অবস্থান ১০ নম্বরে। কিন্তু এফএ কাপ এলেই অন্যরকম হয়ে ওঠে এই টুর্নামেন্টের সফলতম দল। আগের ২০ বার ফাইনালে খেলে তারা ১৩ বার শিরোপা জিতেছে।
সর্বশেষ শিরোপা জয় ২০১৭ সালে। তিন বছর পর কি গানারদের হাতে ১৪তম শিরোপা উঠতে যাচ্ছে? এফএ কাপ জিতলেই শুধু আগামী বছর ইউরোপে (ইউরোপা লিগ) খেলার সুযোগ হবে। না হলে হয়তো অবামেয়াংয়ের মতো স্ট্রাইকারকে ধরে রাখা যাবে না।