ঈদে পরিবহন বন্ধ থাকলে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24, prosenjit bangla movie, jeeter bangla movie, songsar bangla movie, bengali full movie, bengali movies 2019, messi vs ronaldo, lionel messi stats, messi goals, messi net worth, messi height


দেশে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদের সময় চলবে না কোনো ট্রেন, নদীপথে যাবে না কোনো লঞ্চ। করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঢাকা ছাড়ার অনুমতি মিলবে না; চলবে না দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে কোনো যানবাহন। এর ফলে ৫০০ কোটি টাকার লোকসান হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় যান চলাচলে আরও কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। যাত্রা ঠেকাতে ঈদের আগের ৪ দিন, ঈদের দিন এবং এর পরের ২ দিনসহ মোট ৭ দিন গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

কেবল জরুরি সার্ভিসের যানবাহন চলাচলে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। ঈদে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত সব ধরনের যানবাহনের যাতায়াত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি শুরু হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এবং সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় একের পর এক দফায় বাড়ছে সাধারণ ছুটি। এর আওতায় গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় পরিবহন খাতে বড় ধরনের সংকট আসছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদযাত্রাসহ দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন বন্ধ থাকায় এ খাতে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি দাঁড়াবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল অথবা বিভাগীয় ও জেলাশহরে গাড়ি চলবে তা বলা সহজ নয়। সব নিয়ম মেনে যাত্রী পরিবহন করার মতো সচেতন নন পরিবহন শ্রমিকরা।

নৌযান, সড়ক পরিবহন ও রেলযাত্রার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের ১৪টি সুপারিশ রয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার তাগিদ আছে সেখানে। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে ঈদযাত্রী পরিবহন সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিবহন মালিক-শ্রমিক কেউই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নজর দিতে চান না। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবারের ঈদে ভ্রমণ সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রতি বছর দুই ঈদে সড়ক, রেল ও নৌপথে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। রীতিমতো যুদ্ধ করে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। এর পরও রয়েছে নানা ঝুঁকি ও দুর্ভোগ। করোনাকালে এবারের ঈদে এসবের দেখা মিলছে না।

কেননা দেশে অত্যন্ত ছোঁয়াচে ভাইরাস করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে; বাড়ছে মৃত্যু। সঙ্গত কারণেই নেই অগ্রিম টিকিট বিক্রি এবং সোনার হরিণরূপী সেই টিকিট সংগ্রহের চিরচেনা চিত্র।