‘এমবামিং’, বর্তমানে যেভাবে সংরক্ষণ করা হয় মরদেহ


এমবামিং, বর্তমানে যেভাবে সংরক্ষণ করা হয় মরদেহ


মরদেহ সংরক্ষণের কথা উঠলেই মিশরের মমির কথা সবার আগে মাথায় আসে। হাজার হাজার বছর ধরে কী ভাবে প্রাচীন মিশরের ফারাওদের দেহ সংরক্ষণ করা হত, তা আজও বিস্ময়। বর্তমানে মরদেহ সংরক্ষণের পদ্ধতিকে বলা হয় ‘এমবামিং’।

মৃত্যুর পর দেহকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করার বিশেষ কিছু পদ্ধতি রয়েছে:

পূর্বে স্থানভেদে আলাদা আলাদা পদ্ধতি মরদেহ সংরক্ষণ করা হতো। যেমন- ভিনিগার বা অন্যান্য মদে চুবিয়ে মরদেহ সংরক্ষণের কথাও শোনা যায়। উদাহরণসরূপ:

মিশরে মরদেহে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক মাখিয়ে তার উপর কাপড় পেঁচিয়ে দেওয়া হত।

শোনা যায়, আলেকজান্ডারের দেহ ব্যাবিলন থেকে ম্যাসিডোনিয়া আনা হয়েছিল মধুর পাত্রে নিমজ্জিত করে।

ট্রফলগারের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল লর্ড নেলসনের দেহ নাকি ইংল্যান্ডে আনা হয়েছিল ব্র্যান্ডির পাত্রে।

বিজ্ঞানের ভাষায় বিষয়টিকে বলে ‘এমবামিং’। এ ভাবে মৃতদেহ সংরক্ষণ কিন্তু আগেও হয়েছে। রুশ রাষ্ট্রনায়ক লেনিনের মৃতদেহ আজও সংরক্ষিত রয়েছে মস্কোতে।

আরও পড়ুন: শিনজো আবের শেষকৃত্য; যেভাবে আড়াই মাস সংরক্ষিত ছিলো মরদেহ

এমবামিং আসলে কি?

সতেরো-আঠেরো শতকে ইংল্যান্ডে এই পদ্ধতির সূচনা। তবে আধুনিক এমবামিংয়ে ধমনীর মধ্যে দিয়ে দেহ সংরক্ষণকারী তরল প্রবেশ করানো হয় মরদেহে।

সাধারণত মরদেহ সংরক্ষণ করতে হলে আগে শিরা থেকে রক্ত বার করে নেওয়া হয়। বদলে প্রবেশ করানো হয় ফর্ম্যালিন বা ফরম্যালডিহাইড জাতীয় তরল। দেহগহ্বরের ভিতরে থাকা তরল ‘ট্রোকার’ নামক একটি লম্বা সুচ দিয়ে টেনে বার করে নেওয়া হয়। এরপর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ফরম্যালডিহাইড, অ্যালকোহল ও ইমালসিফায়ার জাতীয় পদার্থের মিশ্রণ। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিকগুলো কিছু দিন পর পর বদলাতে ফেলতে হয়।

আরও পড়ুন: আফ্রিকার দুর্ভিক্ষ; পোকা-মাকড় চাষের পরামর্শ ব্রিটিশ সংস্থার