করোনার চিকিৎসায় ফ্যাভিপিরাভির উৎপাদন করল বায়োফার্মা


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24, prosenjit bangla movie, jeeter bangla movie, songsar bangla movie, bengali full movie, bengali movies 2019, messi vs ronaldo, lionel messi stats, messi goals, messi net worth, messi height


করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ ফ্যাভিপিরাভির উৎপাদন সম্পন্ন করেছে দেশের অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বায়োফার্মা লিমিটেড। উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর শুরু হয়েছে সরবরাহ করার প্রস্তুতি।

এ বিষয়ে বায়োফার্মার নির্বাহী পরিচালক ডা: লকিয়াত উল্লাহ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা দেশবাসীকে এই সুখবর দিতে চাই করোনা রোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশে সাফল্যের সাথে যেসব ওষুধ ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের মাঝে ফ্যাভিপিরাভির অন্যতম। ইতিমধ্যে যেসব কোম্পানি এ ওষুধ টি বাজারজাত করেছে, বায়োফার্মা লিমিটেড তাদের একটি।

বায়োফার্মার ওষুধ বিজ্ঞানী মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, জাপানের ফুজিফিল্ম গ্রুপের তয়ামা কেমিক্যাল কম্পানির আবিষ্কৃত ফ্যাভিপিরাভির নামের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিত্সায় ২০১৪ সালে জাপানে অনুমোদন পায়।

চীনসহ কয়েকটি দেশে করোনা মহামারিতে এই ওষুধটিও রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে এবং রোগীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকের চিকিত্সায় সুফল পাওয়া গেছে।

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুবই কম । বিভিন্ন কেইস স্ট্যাডিতে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় ফ্যাভিপিরাভিরের কার্যকারিতা দেখা যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি দেশের সামরিক হাসপাতালে পরিচালিত একটি ছোট স্টাডিতেও কভিড-১৯ সারাতে এটি ৯১.৬ শতাংশ কার্যকর বলে দেখা গেছে।

জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ (ফার্মাসিস্ট) বলেন, ফ্যাভিপিরাভির হচ্ছে এমন একটি ঔষধ যা SARS-CoV-2 তে RNA রেপ্লিকেশন কে বাধা দান করার মাধ্যমে ভাইরাস প্রতিহত করে। মূলত শ্বাসনালিতে সংক্রমিত ভাইরাসের বিরুদ্ধে ওষুধটি তার কার্যকারিতা দেখিয়েছে।

বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি কতৃক প্রকাশিত COVID-19 ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইনে Favipiravir -কে করোনা পজিটিভ রোগীর চিকিৎসার জন্য অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।

ডা: লকিয়াত উল্লাহ বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন গত মার্চ মাসে ওষুধটি উৎপাদনের অনুমতি দেয়। ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদনের পরপরই আমাদের ফার্মাসিস্ট তথা ওষুধ বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে বায়োফ্যাভি নিয়ে কাজ শুরু করেন। বায়োফার্মার -কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এত কম সময়ে এটা উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, Ivermectin যা Biomec নামে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এবং Hydroxychloroquine (Coroquin) ও Doxycycline প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে, বায়োফার্মা প্রায় ৩০০ টি ওষুধ উৎপাদন করে এবং ১৮ টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে।করোনাভাইরাস মহামারিতে ওষুধ উৎপাদন এবং সরবরাহ টিক রাখতে কাজ করছে বায়োফার্মা।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর জানা যায়। প্রথমে চীনের কয়েকটি প্রদেশে, তারপর চীনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং পরবর্তীতে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথমে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। পরে পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেয়। করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় ৭৫ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৪ লাখ ২০ হাজার।

বায়োফার্মার উৎপাদন করা ফ্যাভিপিরাভিরের বাণিজ্যিক নাম ‘বায়োফ্যাভি’। বায়োফার্মা জানিয়েছে, বিধি অনুযায়ী ফ্যাভিপিরাভিরের নমুনা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীনস্থ ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবোরেটরিতে জমা দেওয়া হয় এবং ছাড়পত্র ও বাজারজাতের অনুমতি পাওয়ার পর ওষুধটি বিতরণ শুরু করেছে বায়োফার্মা।

পেপার’স লাইফ/মনিরুজ্জামান নাহিদ