করোনা পরবর্তী সময়ে দেড় লাখ আমেরিকান আত্মহত্যা করতে পারে!


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24, prosenjit bangla movie, jeeter bangla movie, songsar bangla movie, bengali full movie, bengali movies 2019, messi vs ronaldo, lionel messi stats, messi goals, messi net worth, messi height


করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পরবর্তী সময়ে আরো দেড় লক্ষাধিক আমেরিকান আত্মহত্যা অথবা ড্রাগ, মাদক বা অ্যালকোহলের অপব্যবহারে মারা যাবে। এমন আশংকা প্রকাশ করেছে  ন্যাশনাল পাবলিক হেল্থ গ্রুপের ‘ওয়েল বিইয়িং ট্রাস্ট’।

করোনায় ক্ষত-বিক্ষত আমেরিকায় চলমান অর্থ সংকট, বেকারত্ব বৃদ্ধি ইত্যাদির জের দ্রুত কাটিয়ে উঠতে চাই আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আনা। সেটি যদি সম্ভব না হয় তাহলেই মানসিকভাবে বিষন্ন লোকজন আত্মহত্যার মাধ্যমে নিজেকে মুক্ত করার কথা ভাববে।

করোনা পরবর্তীতে আমেরিকানদের জীবন-ধারা নিয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় এমন আভাস পাওয়া গেছে বলে এই গবেষণা কর্মের নেতৃত্ব প্রদানকারি টিমের চীফ স্ট্যাটেজি অফিসার মানসিক বিশেষজ্ঞ ড. বেনজামিন মিলার বলেছেন।

এমন উদ্বেগজনক এবং ভয়ংকর এ তথ্য প্রকাশকালে ড. মিলার বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, ‘তবে করোনা পরবর্তী সময়ে যদি আর্থিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি উন্নতমানের মানসিক স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও কমিউনিটির সমর্থনে ফেডারেল, রাজ্য এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষসমূহ ব্যাপক ব্যবস্থা  নিলে ড্রাগের অপব্যবহারজনিত মৃত্যু এবং আত্মহত্যার পরিস্থিতি ততটা খারাপের দিকে নাও যেতে পারে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এটি একটি তথ্যগত ধারণা, রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের ফলে মৃত্যুহার পরিবর্তিত হতে পারে।

ড. মিলারের মতে, মন্দা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হলেও কমপক্ষে ২৭৬৪৪ জনের প্রাণহানী ঘটতে পারে। আর যদি মন্দা কাটিয়ে উঠতে ঢিলে ঢালা প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয় তাহলে আত্মহত্যাসহ নেশার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ৫৪ হাজারের অধিক হতে পারে।

স্বাস্থ্য এবং মানবসেবা দফতরের সহকারি সচিব এবং মানসিক স্বাস্থ্য প্রশাসনের প্রধান ড. এলিনোর ম্যাককেন্স-কাটজ এ গবেষণা কর্মের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, সারা দেশেই ভয়ংকর একটি পরিস্থিতির ভাব দেখছি। নেশার প্রবণতা বাড়তে পারে, অপকর্ম সীমা ছাড়াতে পারে, গৃহদাঙ্গা বাড়বে এবং একইসাথে শিশুদের অবজ্ঞা-অবহেলা তথা শিশু নির্যাতনের হারও চরমে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের মন্দার সময় বেকারত্বের পাশাপাশি আত্মহত্যা ও মাদক উভয় কারণে মৃত্যুর হার বেড়েছিল। সংস্থাটির মতে, ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব ছিল ৪.৬ শতাংশ, যা বেড়ে ২০০৯ সালের অক্টোবরে ১০ শতাংশে পৌঁছেছিল। ২০১০ এর গোড়ার দিকে তা অবিচ্ছিন্নভাবে হ্রাস পেয়ে ৩.৫ শতাংশে নামে।