‘কৃত্রিম সূর্য’ শক্তিশালী পারমাণবিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে পরিবেশবান্ধব বা নিরাপদ পারমাণবিক শক্তির এই কৃত্রিম উৎসটি আবিষ্কার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার পদার্থবিদেরা।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সূর্যের চেয়ে সাত গুণ বেশি তাপ উৎপন্ন করতে সক্ষম এই কৃত্রিম উৎসটি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আসল সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার মাধ্যমে তাপ উৎপাদনের মতোই তাপমাত্রা পেতে এর প্রক্রিয়াকে কৃত্রিমভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করছেন। এ বছরের শেষ নাগাদ ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ৫০ সেকেন্ড ধরে রাখতে চান বিজ্ঞানীরা। ২০২৬ সাল নাগাদ তাদের লক্ষ্য হচ্ছে কৃত্রিম সূর্যের তাপমাত্রা ৩০০ সেকেন্ড বা ৫ মিনিট পর্যন্ত ধরে রাখা। ধীরে ধীরে তা বাড়ানো, যাতে করে পরিবেশবান্ধব শক্তি পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ আফ্রিকার দুর্ভিক্ষ; পোকা-মাকড় চাষের পরামর্শ ব্রিটিশ সংস্থার
এদিকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির তীব্র সংকটের মুখে এ আবিষ্কারকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব ফিউশন এনার্জির বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কোরিয়া সুপারকন্ডাক্টিং তোকামাক অ্যাডভান্সড রিসার্চ (কেএসটিএআর) নামে একটি পারমাণবিক চুল্লি (রিঅ্যাক্টর) ৩০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছায়। এটা মাইলফলক, যা প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটেছে।
‘সায়েন্স অ্যালার্ট’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে কেএসটিএআর পারমাণবিক চুল্লি উত্তপ্ত হয়ে অত্যধিক তাপমাত্রা সৃষ্টির ঘটনার একটি ভিডিও গত শুক্রবার ইউটিউবে শেয়ার করা হয়।
দেয়া তথ্যে জানানো হয়েছে, কেএসটিএআর চুল্লিটি ২৪ সেকেন্ডের মধ্যে এই আয়ন তাপমাত্রা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে এবং ২০ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্লাজমা ধরে রেখেছে।
উল্লেখ্য, অতি উচ্চ তাপমাত্রায় আয়নিত গ্যাসই হলো প্লাজমা। শব্দের মধ্য দিয়ে এ প্লাজমাকে শনাক্ত করতে পারেন গবেষকেরা।