গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী হলো ইংরেজি বর্ষপঞ্জি বা খ্রিষ্টাব্দ। এটি একটি সৌর পঞ্জিকা।
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী গাণিতিক বর্ষ পঞ্জিকায় ১২টি মাসের উপস্থিতি রয়েছে। এই বর্ষপঞ্জী গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জী, পাশ্চাত্য বর্ষপঞ্জী হিসেবেও পরিচিত।
১৫৮২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পোপ ত্রয়োদশ গ্রোগোরির এক আদেশানুসারে আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় সর্বত্র স্বীকৃত বর্ষপঞ্জীর প্রচলন ঘটে।
সেই বছর কিছু মুষ্টিমেয় রোমান ক্যাথলিক দেশ গ্রেগোরিয় বর্ষপঞ্জী গ্রহণ করে এবং পরবর্তীকালে ক্রমশ অন্যান্য দেশসমূহেও এটি গৃহীত হয়।
পরবর্তীতে ১৭৫২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র এই বর্ষপঞ্জী গ্রহণ করে। তখন তারা তাদের ক্যালেন্ডার থেকে ১১ দিন বাদ দেয়। তাই ১৭৫২ সালের ক্যালেন্ডারে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর এই ১১টি দিন পাওয়া যায় না।
পূর্বের ইতিহাস:
পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি কর্তৃক বর্ষপঞ্জী সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা ছিল কারণ পূর্ববর্তী জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর গণনা অনুসারে একটি মহাবিষুব থেকে আরেকটি মহাবিষুব পর্যন্ত সময়কাল ধরা হয়েছিল ৩৬৫.২৫ দিন, যা প্রকৃত সময়কাল থেকে প্রায় ১১ সেকেন্ড কম।
এই ১১ সেকেন্ডের পার্থক্যের ফলে প্রতি ৪০০ বছর অন্তর মূল ঋতু থেকে জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর প্রায় তিন দিনের ব্যবধান ঘটত।
পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরির সময়ে এই ব্যবধান ক্রমশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১০ দিনের এবং ফলস্বরূপ মহাবিষুব ২১ মার্চের পরিবর্তে ১১ মার্চ পড়েছিল।
যেহেতু খ্রিস্টীয় উৎসব ইস্টারের দিন নির্ণয়ের সাথে মহাবিষুব জড়িত সেহেতু মহাবিষুবের সাথে জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর এই ব্যবধান রোমান ক্যাথলিক গির্জার কাছে অনভিপ্রেত ছিল।
গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জীর সংস্কার দু’টি ভাগে বিভক্ত ছিল:
• পূর্ববর্তী জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর সংস্কার এবং
• ইস্টারের তারিখ নির্ণয়ের জন্য গির্জায় ব্যবহৃত চান্দ্র পঞ্জিকার সংস্কার।
১২ মাসের নাম ও দিন সংখ্যা:
ক্রমিক | নাম | দিন |
১ | জানুয়ারি | ৩১ |
২ | ফেব্রুয়ারি | ২৮ বা (অধিবর্ষে) ২৯ |
৩ | মার্চ | ৩১ |
৪ | এপ্রিল | ৩০ |
৫ | মে | ৩১ |
৬ | জুন | ৩০ |
৭ | জুলাই | ৩১ |
৮ | আগস্ট | ৩১ |
৯ | সেপ্টেম্বর | ৩০ |
১০ | অক্টোবর | ৩১ |
১১ | নভেম্বর | ৩০ |
১২ | ডিসেম্বর | ৩১ |