ডিজিটাল বা ইমেজ ফন্ট


মাসুম হোসেন ভূঁইয়ার কবিতা 'এমন কেন তুমি?'


আশির দশকের মাঝামাঝির পরে ১৯৮৭ বা ১৯৮৮ সালের দিকে ‘অ্যাপল ম্যাকিন্টোশ’-এ (৬ ইঞ্চি স্ক্রিন) এবং তার কিছুদিন পরেই ‘আইবিএম’ কমপিউটারে ‘বিজয়’ কিবোর্ডে বাংলা ফন্টে লেখা হতো। সেটা ছিলো প্রফেশনাল প্রিন্টিং (প্রকাশনা) কাজের জন্য। সেই পিসিতে তথ্য ইনপুটের জন্য ফ্লপি ডিস্ক (এখন ইউএসবি পেন ড্রাইভ) ব্যবহার হতো।

তার আগে ‘টাইপরাইটার’-এ বাংলায় অফিশিয়াল/ব্যক্তিগত কাজ চলতো। আর প্রিন্টিং সংবাদপত্র/প্রকাশনার জন্য সিসার হরফে টাইপ করে (কিছু পদ্ধতির পর) বাংলায় লেখা হতো। বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষাভাষিদের মাঝে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদানের জন্য নিদারুণ এক সমস্যা ছিলো। কারণ বিজয় ফন্টের ডিজিটাল/ইমেজ ভার্সন তখন ছিলো না।

এজন্য তখন বাংলায় তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বাংলিশে ই-মেইল লিখতে হতো। এরপর নব্বই দশকের শেষ দিকে মোবাইল ফোন এলেও, বাংলায় সহজে তথ্য আদান-প্রদানে একই সমস্যা ছিলো। ২০০০ সাল বা তার কিছু পরে মোবাইল মোটামুটি জনপ্রিয় হওয়ার পরও একইভাবে (বাংলিশ) বাংলায় তথ্য আদান-প্রদান চলতো। কারণ জনপ্রিয় বাংলা ফন্ট ‘বিজয়’-এ কিছু লিখলে, প্রাপকের কাছে ‘বিজয়’ ফন্ট ইনস্টল না থাকার কারণে দেখতে পেতেন না।

মোবাইল ফোনের আগে বেশ কিছুদিন তথ্য আদান-প্রদানের জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো ‘পেজার’। অনেকেই পেজার কিনতো। সে সময় একটা দিন গেছে বটে!

যাহোক ২০০৫ সালের দিকে ‘অভ্র’ সে সমস্যা দূর করে। অমিক্রন ল্যাবের অভ্র’র স্লোগান ভাষা হোক উন্মুক্ত। পরবর্তীতে ২০১০/১১ সালের দিকে বিজয়-এর ‘ইউনিকোড’ নামে ডিজিটাল  বা ইমেজ ফন্টের ভার্সন বাজারে ছাড়ে।

এখন তো সারাবিশ্বে বাংলা ভাষাভাষিদের জন্য দ্রুত ডিজিটালি তথ্য আদান-প্রদান কোনো ব্যাপারই না। তবে বাংলা টাইপিং জানতে হয়। না জানলেও সমস্যা নেই, তাদের জন্য আছে “Phonetic system- English to Bangla” লেখার ব্যবস্থা। তবে প্রফেশনাল কাজের জন্য, সার্বিক বিচারে ‘অভ্র ফনেটিক্স’ পদ্ধতি আমার কাছে অন্তত উপযুক্ত মনে হয় না।

মো. মাসুম হোসেন ভূঁইয়া

ই-মেইল: banglayshikhi3@gmail.com