দেশে করোনা পরীক্ষার হার কেন কম?


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24, prosenjit bangla movie, jeeter bangla movie, songsar bangla movie, bengali full movie, bengali movies 2019, messi vs ronaldo, lionel messi stats, messi goals, messi net worth, messi height


করোনাভাইরাস সংক্রমনের শুরুতে ১০হাজার নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও এখনো নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা  ছয় সাত হাজারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সংক্রমনের সঠিক পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব হবে না বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর দুই মাসে ৩৭টি ল্যাবে পরীক্ষা বাড়ানোর বিষয়কে সরকারের পক্ষ থেকে বড় অর্জন হিসেবে তুলে ধরা হলেও নমুনা পরীক্ষার কাজে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে লোকবলের সমস্যার কারণে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে।

এ যাবত সর্বোচ্চ ৭২৮০জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায়। আর দুই মাসে মোট ১লাখ ৩০ হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে এই পরীক্ষার সংখ্যা নগন্য।

বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, যেটুকু পরীক্ষা হচ্ছে, তাতেই সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। সেখানে পরীক্ষার সংখ্যা না বাড়িয়ে সংক্রমণের হার একটা পর্যায় রাখার কোন কৌশল আছে কিনা, এমন সন্দেহও করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে।

এ বিষয়ে দেশের উত্তরে বগুড়ার সিভিল সার্জন গাউসুল আজম বলেন, বগুড়ায় মাত্র একটি ল্যাবে নমুনা আসছে তিনটি জেলা থেকে। আমাদের এখানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ল্যাবে দুই শিফটে কিন্তু কাজ হয়। এই দুই শিফটে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা আছে।এই সংখ্যাই কিন্তু পরীক্ষা হচ্ছে। এই ল্যাবে আর অতিরিক্ত করা সম্ভব নয়। এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এখানে আরেকটা ল্যাব করা ছাড়া পরীক্ষা আর বাড়ানো যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “এই ল্যাবে বগুড়ার ১২টা উপজেলা এবং সিরাজগঞ্জ ও জয়পুর জেলা থেকে নমুনা আসছে পরীক্ষার জন্য। যারফলে দুইটা শিফট চালানোর পরও ব্যাকলগ থেকেই যাচ্ছে।”

এর মধ্যে সময়মতো রিপোর্ট না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় এক সপ্তাহ আগে তিনি নমুনা দিয়েছেন। কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও তা পাচ্ছেন না। তিনি এই পরিস্থিতি কি করবেন সেটাও বুঝতে পারছেন না।

এদিকে সরকার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থ্যা ব্রাকের সাথে সারাদেশে ৬০০ বুথ তৈরি করে নমুনা সংগ্রহ আরও বাড়ানোর কথা বলছে।

ব্র্যাক ইতিমধ্যেই ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল এবং কমিউনিটি সেন্টারে বুথ তৈরি করার পর ২০টিতে কার্যক্রম শুরু করেছে। নগরীতে মোট ৪৯টি বুথ বসানো হবে।

ঢাকার বাইরে বুথ তৈরির কাজ অল্প সময়ের মধ্যে শুরু করার কথা বলা হচ্ছে।

কিন্তু বুথ হলেই কি সমাধান হবে- এই প্রশ্নে ব্রাকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগী পরিচালক মোর্শেদা চৌধুরী বলেছেন, “বুথ বানানো কোন ব্যাপার না। বুথ আমরা তৈরি করেছি। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, লকডাউনের মধ্যে দক্ষ লোক হায়ার করা এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া। এছাড়া নমুনা সংগ্রহের লজেস্টিক সব আমরা পাচ্ছি সরকারের কাছ থেকে। এসবের সরবরাহের ওপর সবকিছু নির্ভর করবে।”