মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কাজ চলছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে। চলছে ভ্যাকসিন তইরির কাজ। বিজ্ঞানী ও গবেষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এ পরিস্থিতি মোকাবেলায়।
সারা বিশ্বে একশটিরও বেশি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন মানব শরীরে ট্রায়ল করা হয়েছে। কয়েকটি আবার পরীক্ষার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। আবার কয়েকটি প্রাণীর শরীরে খুব ভালো কাজ করছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, আসছে সেপ্টেম্বরের করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আসবেন তারা। তবে ভ্যাকসিন রাখার কাচের ভায়াল নিয়ে এবার দেখা দিয়েছে নতুন শঙ্কা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো ভ্যাকসিন হয়তো সেপ্টেম্বরের দিকে অনুমোদন পাবে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী টিকাদান করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কাচের ভায়াল বা ছোট বোতল সরবরাহে ভয়াবহ সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ভ্যাকসিন উৎপাদকরা এনিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন।
ভ্যাকসিন রাখার ভায়লগুলো বিশেষ ধরনের কাচ দিয়ে তৈরি। থার্মো ফিশার সায়েন্টিফিক ও স্কটজাতীয় সরবরাহকারীরা তাদের কাচের জিনিসপত্র ট্রেডমার্ক করে। দুই মিলি থেকে একশ মিলি তরল দিয়ে ভর্তি করা হয়। এর জন্য তারা তৈরি করেন ৪৫ মিমি লম্বা ও সাড়ে ১১ মিমি চওড়া বোতল।
ভ্যাকসিনের বোতলজাত প্রক্রিয়াটি মূলত ‘ফিল-অ্যান্ড ফিনিস’ নামে পরিচিত। ভ্যাকসিন তৈরির পর বাজারে যাওয়ার মূল কারণই এটি। এক ধরনের কঠিন প্রক্রিয়া হলো বোতলজাতকরণ। ভ্যাকসিন মেশিনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ভায়াল এবং সিরিঞ্জের মধ্যে সিফনে তরল করে ঢুকানো হয়।
সারা বিশ্বের মানুষের কাছে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে হলে তৈরি করতে হবে আট বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন। এটি খুব সহজ কাজ হবে না। বিশেষত যখন প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কাচের ভায়াল বা শিশি নেই। তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা ভ্যাকসিন পেতে একটু সময় লাগতে পারে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের রেগিয়াস প্রফেসর স্যার জন বেল বলেন, বিশ্বে এখন মাত্র দুইশ মিলিয়ন কাচের ভায়াল রয়েছে। আর সারা বিশ্বের সব মানুষকে টিকা দিতে দরকার পড়বে আট বিলিয়ন কাচের ভায়াল। এর ঘাটতির কারণে বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে সমস্যা হতে পারে।