টানা দুইবার লা লিগা জয়ের পর বর্তমান আসরে লীগ হারাতে হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। করোনা লকডাউনের পর খেলা দশ ম্যাচে ৩ ড্র ও ১ পরাজয় হতাশা বাড়িয়েছে, শিরোপা হাতছাড়া করেছে। এ অবস্থায় লিগের ৩৮তম অর্থাৎ শেষ ম্যাচটি ছিল নেহায়েত নিয়মরক্ষার। আর এ ম্যাচটিতেই কি না নিজেদের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিলো বার্সেলোনা।
শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়ে দিলো পাঁচটি গোল। মেসির জোড়া এবং ফাতি, সুয়ারেজ ও সেমেডুদের গোলে আলাভেসের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা।
রোববার রাতে মেনডিজরোজায় খেলতে গিয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে কাতালান ক্লাবটি। প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যেই আর্তুরো ভিদাল ও লিওনেল মেসির তিনটি শট প্রতিহত হয় বারে লেগে। ফলে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়ে ম্যাচের ২৪ মিনিট পর্যন্ত।
অধিনায়ক মেসির আলতো করে বাড়িয়ে দেয়া বলে পা ছুঁইয়ে গোলের খাতা খোলেন তরুণ প্রতিভা আনসু ফাতি। এর মিনিট তিনেক পর সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন লুইস সুয়ারেজ।
সুয়ারেজ সুযোগ হাতছাড়া করলেও ৩৪ মিনিটের মাথায় কোন ভুল করেননি লিওনেল মেসি। লিগে নিজের ২৪তম গোলটি করেন রিকি পুইগের পাস থেকে ডি-বক্সে জায়গা বানিয়ে।
প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার আগে নিজের আগের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন সুয়ারেজ, ৪৪ মিনিটের মাথায় জর্দি আলবার ক্রসে হেড দিয়ে স্কোরলাইন করেন ৩-০।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা কমে বার্সার খেলার ধার। তবে আক্রমণে কমতি রাখেনি কিকে সেতিয়েনের শিষ্যরা। একের পর এক আক্রমণ চলতে থাকে আলাভেসের রক্ষণে। যার সুফল মেলে ৫৭ মিনিটের সময়। ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার নেলসন সেমেডুর বুলেট গতির শটে এক হালি পূরণ হয় বার্সেলোনার।
আলাভেসের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন লিওনেল মেসি। লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা নিজের ২৫তম গোলটি করেন ম্যাচের ৭৫ মিনিটের সময়। এতে করে নিশ্চিত হয়ে যায় টানা চতুর্থ মৌসুমে তার পিচিচি ট্রফি। সবমিলিয়ে রেকর্ড সপ্তমবারের মতো এটি জিতলেন তিনি।