মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) নিউইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ’র ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফাহিমের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারীকে গ্রেফতার করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) নিউইয়র্কের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম- টাইরেস ডেভন হাসপিল (২১ বছর)।
প্রতিবেদনে গোয়েন্দাদের বরাতে উল্লেখ করা হয়, হাসপিল সালেহের ব্যক্তিগত সহকারী হিসাবে কাজ করেছেন। সালেহ-এর তার কাছ থেকে কয়েক হাজার ডলার আত্মসাৎ করার পরে তাকে হত্যা করে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সালেহ একটা সময় জানতে পারেন, হাসপিল তার কাছে থেকে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলেও হাসপিলকে সেটা ফেরত দিতে বলেন সালেহ। এরপরই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২০১৪ সালে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরে যৌথভাবে ‘পাঠাও অ্যাপ’ চালু করে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। নিহত ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ছাড়াও নাইজেরিয়ায় ‘গোকান্ডা’ নামে আরেকটি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেন।
পেশায় ওয়েবসাইট ডেভেলপার ফাহিম অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল গ্লোবাল নামক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানেরও উদ্যোক্তা ছিলেন।