বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের উপর নিষেধাজ্ঞার কারণ ব্যাখ্যা করল ইতালি


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24


বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ থেকে ইতালিতে আসা-যাওয়া নিষিদ্ধ করার মেয়াদ আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও আছে আর্মেনিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, বসনিয়া হার্জেগোভিনা, চিলি, কুয়েত, উত্তর মেসিডোনিয়া, মালদোভা, ওমান, পানামা, পেরু ও ডমিনিক প্রজাতন্ত্র।

এই দেশগুলোর যাত্রীরাই শুধু নয়, গত ১৪ দিনে ট্রানজিট হিসেবে যাত্রাবিরতি করা ব্যক্তিরাও আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত ইতালিতে ঢুকতে পারবেন না। ইতালি সরকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে দুটি যুক্তি দেখিয়েছে ইতালি সরকার। এগুলো হলো—জনসংখ্যার অনুপাতে এই দেশগুলোর করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ হার অনেক বেশি।

দ্বিতীয়ত, ওই দেশগুলোতে করোনা মোকাবেলা উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুবই সীমিত। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই ওই দেশগুলোর সঙ্গে ইতালির ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে।

ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গতকাল বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরাঞ্জার এসংক্রান্ত একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরাঞ্জা বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে জটিল অধ্যায়ের বাইরে বেরিয়ে এলেও এখনো নিরাপদ নই। উপসর্গ নেই এমন ব্যক্তিদের মাধ্যমে সীমিত মাত্রায় হলেও ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে। বিদেশ থেকে ফেরত আসা ইতালীয় নাগরিক এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা বা ট্রানজিটের জন্য ইতালিতে যাত্রাবিরতি করা ব্যক্তিদের মাধ্যমে দেশে আবার কভিড-১৯ প্রবেশের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।’

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে ফেরা ইতালির পাসপোর্টধারী ও রেসিডেন্ট পারমিটধারীদের অনেকেই কোয়ারেন্টিন মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তাদের কয়েকজনের কভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পর বিষয়টি ইতালিতে বেশ আলোচিত হয়।

এরই মধ্যে বাংলাদেশে কভিড-১৯ পরীক্ষার ভুয়া সনদের বিষয়টিও বিশ্বব্যাপী প্রচার হয়। ইতালি কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে রোমে ফেরা একটি ফ্লাইটের যাত্রীদের কভিড-১৯ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়ার পর প্রায় ২০ শতাংশ যাত্রীর ‘পজিটিভ’ ধরা পড়ে। এর পরই নড়েচড়ে বসে ইতালি সরকার।

বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাত্রী যাওয়া প্রথমে সাত দিনের বন্ধ করা হয়। এমনকি ইতালি থেকে শতাধিক যাত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।