সুযোগ ছিল। সেই সুযোগ হেলায় হারিয়ে আগামী বিশ্বকাপ সরাসরি খেলার শঙ্কায় বাংলাদেশ। তবে কি বাছাইপর্ব খেলেই বাংলাদেশকে জায়গা করে নিতে হবে ২০২৪ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে? এই প্রশ্ন এখন অনেকের মনেই।
ক্রিকেটের বিশ্বায়ন নিয়ে অনেক কথা হয়। সেগুলো আমলে নেয় না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। বরাবরই দল কমিয়ে নিন্দার শিকার হওয়া ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চোখ খুলেছে এবার। ২০২৪ বিশ্বকাপ থেকে দল বাড়ানোর পরিকল্পনায় ২০ দলের বিশ্বকাপ হবে বলে নিশ্চিত করেছে তারা।
আসন্ন সে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জন্য চলতি বিশ্বকাপের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা চলতি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের দুটি গ্রুপ থেকে প্রথম চারটি করে, মোট আটটি দল সরাসরি সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে। আজকের নেদারল্যান্ডস বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের চমক সব সমীকরণ ওলটপালট করে দিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের এই চমকের ফলে চার নম্বরে থেকে আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি সুযোগের দোরগোড়ায় নেদারল্যান্ডস। ফলে পাঁচ নম্বর অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের জন্য কী সমীকরণ অপেক্ষা করছে, তা জল্পনা কল্পনার অন্ত নেই।
চলুন দেখে নেওয়া যাক আগামী বিশ্বকাপে কীভাবে দল নির্ধারণ করা হবে আর ২০ দলের নতুন বিশ্বকাপ কীভাবে পরিচালনা করা হবে :
স্বাগতিক দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে সরাসরি সুযোগ মিলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের। ফলে সুপার টুয়েলভে উঠতে ব্যর্থ হলেও বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় নেই দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এছাড়াও সুপার টুয়েলভের দুই গ্রুপের শীর্ষ চার দল করে মোট আট দলের ২০২৪ বিশ্বকাপ নিশ্চিত।
তারা হলো নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডস। তাহলে বাংলাদেশের জায়গা কোথায়?
বিশ্বকাপের নিয়মে বলা আছে, র্যাংকিংয়ের বিচারে পরের দুই দলও সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করবে। নয়ে থাকা বাংলাদেশ ও দশে থাকা আফগানিস্তানের তাই বিশ্বকাপ নিশ্চিত বলা যায়। তবে সেক্ষেত্রে ১৪ই নভেম্বর পর্যন্ত অবস্থানটি ধরে রাখতে হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে।
মোট বারোটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে অংশ নেবে। বাকি আট দলকে বিশ্বকাপে সুযোগ করে নিতে লড়তে হবে বাছাইপর্বে। আফ্রিকা মহাদেশ, এশিয়া মহাদেশ ও ইউরোপ মহাদেশ থেকে দু’টি করে মোট ছয়টি এবং আমেরিকা ও পূর্ব এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে একটি করে দল সুযোগ পাবে আগামী বিশ্বকাপে।
এভাবেই মোট ২০টি দলের অংশগ্রহণে শুরু হবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে চার গ্রুপে, প্রতি গ্রুপে পাঁচটি করে দল একে অপরের সাথে লড়বে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল নিয়ে চলবে সুপার এইটের লড়াই। সেখান থেকে শীর্ষ চার দল নিয়ে সেমিফাইনাল ও পরবর্তীতে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
তবে, এমন নখদন্তহীন পারফরম্যান্স নিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে কতটুকু সফল হবে বাংলাদেশ, তা সময়ই বলে দিবে। এখনো দুই বছর বাকি। নিজেদের ঢেলে সাজিয়ে তবেই বিশ্বকাপে হুংকার দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। তবেই সফলতা আসবে। নাহয় আবারও হতাশায় ডুবতে হবে। যেই হতাশায় ডুবতে ডুবতে একদিন হয়তো অপমৃত্যু হবে এদেশের ক্রিকেটপ্রেমী জনগণের।