আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ভারতের আসাম প্রদেশের ধুবড়ি জেলার চাপোবত থানায় আটক ২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত চেয়ে মানববন্ধন করেছেন আটকদের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের কলেজ মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন আটকদের স্বজনরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আটক বাংলাদেশিদের স্বজনরা দাবি করেন, ভারতে আত্মীয়দের বাড়ি থাকায় কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ব্যাপারী পাড়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ভারতে বেড়াতে যান। এর মধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ভারত জুড়ে লকডাউন শুরু হয়।
কিন্তু গত ৩ মে কিংবা তার পরদিন চেকপোস্ট কয়েকঘন্টার জন্য খুলে দেয়া হবে এমন খবরে বেড়াতে যাওয়া বাংলাদেশিরা জোড়হাট থেকে ধুবড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেদিন ছিল ভারতে দ্বিতীয় দফা লকডাউনের শেষ দিন। লকডাউনে বাইরে বের হওয়ায় গত ৩ মে ২০২০ তারিখ চাপোবৎ থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাইফুল ইসলাম বলেন, ইতিহাসে রাষ্ট্র ভাগ হয়েছে, কিন্তু আত্মীয় তো ভাগ হয়নি। ফলে আমাদের নিয়মিতই ভারতে আসা-যাওয়া করতে হয়। ওপারের আত্মীয়রা আসেন, আমরাও যাই। পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে চলাচল চলে। বংশপরম্পরায় জেলে হওয়ায় বেড়াতে গিয়ে অবসরে মাছ শিকার করি। আমাদের রক্তের মধ্যে আছে মাছের গন্ধ। ফলে এটাকেই কেউ কেউ বলেন, ভ্রমণ ভিসায় গিয়ে কর্ম করা।
সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, তাদের স্বজনদের আটকের পর গত ৫ মে সকাল ১০ টায় ও ৬ মে দুপুর ২ টায় ভিডিও কলে আটক স্বজনদের সাথে ভারতের থানা পুলিশ কথা বলার সুযোগ করে দেন। এসময় স্বজনরা শারীরিক নির্যাতনের কথাও বলেছেন।
বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের পরিবারের আটক সদস্যদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিয়ে শঙ্কায় আছি। এমতাবস্থায় আটক স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন আটক বাংলাদেশিদেও স্বজন ও এলাকাবাসী।
পেপারস লাইফ/কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি/চন্দন কুমার সরকার