মঙ্গল গ্রহের পথে রয়েছে জাপান থেকে উৎক্ষেপিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক মহাকাশযান। মহাকাশযানটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পৌঁছাবে, যা কাকতালীয়ভাবে আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী।
প্রায় পাঁচশ মিলিয়ন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিবে এ মহাকাশযান। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এর আগে দুবার প্রস্তুতির পরেও এ মিশনের উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়েছিলো।
মিশনটির বৈজ্ঞানিক দলের প্রধান সারাহ আল হামিরি মহাকাশযানটির সফল উৎক্ষেপণের পর তার স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, তার দেশের ওপর এর প্রভাব অনেকটাই ৫১ বছর আগে আমেরিকার চাঁদে পা রাখার মতো। সেটিও ২০শে জুলাই তারিখেই হয়েছিল।
মহাকাশযান ডিজাইন ও নির্মাণ করার ক্ষেত্রে আরব আমিরাতের অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। তার পরেও তারা এমন একটি কাজে হাত দিয়েছে যা এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপ ও ভারত এটি করতে পেরেছে। আ
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মঙ্গল থেকে কিভাবে বাতাস কমে গেল কিংবা পানির বিষয়টি বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এ মিশন আসলে পরিণত হবে অনুপ্রেরণার বাহন হিসেবে যা আরব আমিরাতসহ পুরো আরব অঞ্চলের তরুণদের বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে আকৃষ্ট করবে।
দেশটির সরকার বলছে এ মহাকাশযাত্রা দেশটিকে তেল গ্যাস নির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের দিকে নিয়ে যাবে।
শুধু এ মহাকাশযানটিই নয়, আরব আমিরাত এ মিশনসহ এ মাসেই তিনটি মিশন পাঠাতে যাচ্ছে মঙ্গলে।