মুশফিক তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির সেই ঐতিহাসিক ব্যাটটি নিলামে তুলেছেন নিজের জন্মদিনের দিন। করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই বিশেষ এই ব্যাটটি নিলামে তোলেন তিনি।
শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া এই নিলামে এখন পর্যন্ত মুশফিকের ব্যাটের দাম উঠেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার টাকা! তবে অধিকাংশই ভুয়া ব্যক্তিরা দর হাঁকাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অনলাইনভিত্তিক বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট পিকাবোতে স্মারকগুলো নিলামে তোলা হয়েছে। নিলামের পুরো প্রক্রিয়াটি দায়িত্ব নিয়েছে নিপকো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট।
জানা যায়, নিলামে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ব্যক্তি ভুয়া। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত তারা যাচাই-বাছাই করে ভুয়া ব্যক্তিদের বাদ দিচ্ছেন।
পিকাবোর প্রধান নির্বাহী মরিন তালুকদার ‘এই স্মারকগুলোর টাকা সবই যাবে দুঃস্থদের জন্য। কিন্তু মানুষ বুঝতেছে না। আমরা ফোন করে অনেকের কাছে জামানত চাচ্ছি। আপনি যদি কিনতে চান তাহলে কিছু টাকা জামানত রাখুন, এ রকম বলার পর অনেকেই যোগাযোগ করছে না। আমরা তাদের বাদ দিচ্ছি। আজ অনেককে বাদ দিয়েছি। এটি উন্মুক্ত নিলাম হওয়ায় সবাই দর হাঁকাচ্ছে। গতকাল একজন ৩২ লাখ টাকা দর হাঁকিয়েছেন, তাকেও বাদ দেওয়া হয়েছে।’
মরিন তালুকদার জানান, ৪৫ জনের ১০ লাখ টাকা দর হাঁকানো একজন ব্যক্তির সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে, তিনি দুই-এক দিনের মধ্যে জামানত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
মুশফিকুর রহীমের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার ব্যাটটির ভিত্তিমূল্য ছিল ৬ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত ৫৩ জন বিডার নিলাম করে দর হাঁকিয়েছে ৪০ লাখ ১০ হাজার টাকা।
বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো দেশ স্তম্ভিত! অসহায় মানুষগুলোর জীবনযাপন হয়ে উঠেছে কষ্টকর। তাইতো তাদের পাশে দাঁড়াতে একে একে এগিয়ে আসছেন নামি-দামি ক্রিকেটাররা। নিলামের বাটখারায় তুলছেন নিজেদের প্রিয় স্মারকগুলো!
যার শুরু সাকিব আল হাসানের বিশ্বকাপের ব্যাট দিয়ে। এরপর থেকে ক্রমেই জমজমাট হয়ে উঠছে বাংলাদেশে ক্রীড়াবিদদের স্মৃতি স্মারক নিলামের বিষয়টি।
নিলামে আরও রয়েছে যুব দলের অধিনায়ক আকবর আলি বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্যবহৃত জার্সি ও গ্লাভস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৭ বলে ৫২ রান করা মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাট, ২০১১ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেয়া সকল খেলোয়াড়দের সাক্ষরিত ব্যাট এবং মাশরাফি বিন মর্তুজার অটোগ্রাফযুক্ত একটি ক্যাপ, ভারতের বিপক্ষে ৮১ রানের ইনিংস খেলা মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাট।
৯ মে থেকে শুরু হওয়া নিলাম চলবে আগামী ১৪ মে পর্যন্ত। এখন দেখার বিষয় কতো দামে বিক্রি হয় সেই ঐতিহাসিক ব্যাটটি।