হিজাব মেয়েদের সম্ভ্রম এর প্রতীক। নিজেদের ঢেকে রাখতে মুসলিম নারীরা হিজাব পড়েন। এই হিজাবে নারীদের সৌন্দর্য যেন বৃদ্ধি পায় বহুগুণে।
কিন্তু যদি বলি ছেলেরাও এই হিজাব পড়েন। বিশ্বাস হবে কি? আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে পুরুষরা অনেকটা মেয়েদের মত মাথা ও মুখ ঢাকেন৷ শতাব্দী ধরে চলে আসছে এ প্রথা৷
সেই অঞ্চলগুলোর কথাই জানাচ্ছি এবার :
আফ্রিকার দেশ লিবিয়া। সেখানকার সাহারা মরুভূমি এবং সাহিল জোনে যাযাবর সম্প্রদায়ের তুয়ারেগ গোষ্ঠীর মানুষ এক প্রকার পাগড়ি পরে কাপড়ে মুখ ঢাকেন৷ তবে কেবল সূর্যের তাপ বা বালি থেকে বাঁচা এর উদ্দেশ্য নয়, এভাবে মাথা ও মুখ ঢাকা সেখানে সম্মানের অংশ৷
তুয়ারেগ পুরুষরাই কেবল পুরো মুখ ঢাকেন৷ তাদের বিশ্বাস, মরুভূমিতে চলাফেরার সময় মৃত আত্মাদের হাত থেকে এটি তাদের রক্ষা করে৷ ঐতিহ্যগত ভাবে তারা সাদা কাপড়ে নীল রঙ করে পাগড়ি পরেন৷ এ কারণে তাদের বলা হয় মরুভূমির ‘নীল মানব’৷
মরক্কোর বর্বর উপজাতির পুরুষদের মাথার পাগড়ি এবং মুখবন্ধকে প্রথাগতভাবে বলা হয় ‘তাগেলমুস্ট’ বা ‘লিথাম’৷ তবে এরা বেশিরভাগ হলুদ লিথাম পরে৷ অতীতে লড়াইয়ের সময় বর্বররা এভাবে মাথা মুখ ঢেকে রাখলে তাদের সহজে চেনা যেত না৷
তুয়ারেগ এবং বর্বরদের মত বেদুঈনও মরুভূমির যাযাবর হিসেবে পরিচিত৷ প্রতিবেশি দেশ ইসরায়েল ও মিশরের মাঝে আরব উপত্যকায় এদের বাস৷ এই পাগড়ি ও মুখবন্ধকে বলা হয় ‘কুফিয়া’৷ কোথাও কোথাও বলে ঘুত্রা বা হাত্তা৷ তবে এলাকা ভিত্তিতে এটা পরার ভঙ্গি ভিন্ন হয়৷
নাইজেরিয়ার কানো রাজ্যে পুরুষেরা অনেকটা বোরকার মত মাথা ও মুখ ঢাকেন৷
মধ্য আফ্রিকার ভূমিবেষ্টিত দেশ শাদ। শাদের উত্তরাঞ্চলে টুবু উপজাতির পুরুষরা মাথা মুখ ঢাকেন কাপড় দিয়ে৷ এই পুরুষরা নিজেদের কাপড় নিজেরাই বুনেন৷ এরা সাধারণত মেষপালক৷