সুন্দরবনে আটটি বাঘ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের বন বিভাগ। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৮৮টি। নতুন পরিসংখ্যানে তা বেড়ে হয়েছে ৯৬টি।
একসঙ্গে আটটি বাঘ বৃদ্ধির ঘটনা সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে এই প্রথম।
এদিকে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের সর্বশেষ পরিসংখ্যানেও বেড়েছিল আটটি বাঘ। ২০১৮ সালে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। যা ২০১৭ সালে ছিল ১০৬টি। ২০১৯ সালের ২২ মে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের বন বিভাগ।
গত বছর সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ৫৭৮টি ক্যামেরা বসিয়ে বাঘ গণনা শুরু করে ভারতের বনদপ্তর এবং ব্যাঘ্র প্রকল্প। তাদের এই বাঘ গণনায় সাহায্য করেছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ)।
দেশটির সুন্দরবন অংশে প্রায় দু’মাস ধরে ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের গণনা চলে। বিভিন্ন নদী ও খাঁড়িতে বসানো হয়েছিল এই ক্যামেরা। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় যেমন ক্যামেরা বসিয়ে গণনা হয়েছে, তেমনি গণনা করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন সংলগ্ন এলাকায়।
সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে। আর বাঘের সংখ্যা বাড়ায় আশার আলো দেখছেন ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞরা।
দেশটির ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞ জয়দীপ কুণ্ডু বলেন, সুন্দরবনের জঙ্গলে নেট ফেন্সিং দেয়ার কারণে জঙ্গলের বাঘ বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না। এর ফলে বাঘের মৃত্যুর হার যেমন একদিকে কমেছে তেমনই জঙ্গলে যথেষ্ট পরিমাণ খাবারেরও জোগান বেড়েছে। শুধু তাই নয় প্রতিটা নদীতে বা খাঁড়িতে বন দফতরের ই-পেট্রোলিং চালু হওয়ার কারণে বাঘ পাচারকারীও কমেছে।
দেশটির ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা ড. সুধীর চন্দ্র দাস বলেন, সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘ বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো সুন্দরবন বাঘের উপযুক্ত আবাসস্থল এবং সেখানে বা নিরাপদে আছে এটাই প্রমাণ করে। তাছাড়া প্রতিটি বাঘের ‘হ্যাবিচুয়াল অ্যাকশন’ সেটিও সুন্দরবনে দারুণভাবে কার্যকারী হচ্ছে।