বাংলাদেশের ক্রিকেটে ৮ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, জিতিয়েছেন ৫০ টিতে। চলতি বছর মার্চে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ জয় দিয়ে রাঙান তিনি।
পরিসংখ্যান বিচারে তাই এখন পর্যন্ত মাশরাফিই দেশের সফল অধিনায়ক। এই ৫০টির মধ্যে মাশরাফির চোখে সেরা তিনটি জয় কোনটি?
করোনা পরিস্থিতিতে গৃহবন্দী সময় কাটানো তামিম সতীর্থদের সঙ্গে লাইভ আড্ডায় মেতেছেন বেশ কয়েকদিন ধরে।
সোমবার (৪ মে) তার সঙ্গী ছিল সদ্য বিদায়ী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার জায়গাতেই বর্তমান অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তামিম ইকবাল।
মাশরাফির কাছে তার সেরা তিন জয় সম্পর্কে জানতে চেয়ে তামিম বলেন, ‘আপনার অধীনে আমরা ৫০ টি ওয়ানডে জিতেছি। এটা অবশ্যই অন্যতম একটা বড় মাইলফলক আমার মনে হয়। যা সত্যিই অসাধারণ। আপনি আপনার তিনটি জয়ের কথা বলেন যেগুলো আপনার হৃদয়ে ভালোভাবে জায়গা করে নিয়েছে।’
২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা ম্যাচ সবার উপরে মাশরাফির কাছে। নিজের সেরা তিন জয় সম্পর্কে মাশরাফি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের সাথে বিশ্বকাপে যেটাই আমরা কোয়ার্টার ফাইনাল খেললাম (২০১৫ বিশ্বকাপ)। তারপর বলতে হয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে (২০১৭) সাকিব-রিয়াদের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা অবিশ্বাস্য। ইংল্যান্ডের সাথে ঘরের মাঠে (২০১৬ মিরপুরে) দ্বিতীয় ম্যাচটা, তাসকিন তিনটা উইকেট পেল।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে পাওয়া জয়ে বড় ভূমিকা ছিল ম্যাচ সেরা মাশরাফির। ব্যাট হাতে শেষদিকে তার ২৯ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতেও ২৯ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। ২৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড অলআউট ২০৪ রানে। ম্যাচে মাশরাফির অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তামিম বলেন, ‘আপনি সে ম্যাচটায় শুরুতেই উইকেট নিয়েছেন ব্যাট হাতেও রান করেছেন।’
প্রত্যুত্তরে সেসময়কার টাইগার কোচ হাথুরে সিংয়ের একটি মন্তব্য মনে করিয়ে দিয়ে মাশরাফি বলেন, হাথুরাসিংহেতো আমাকে বলতো তুমি কখনোই ব্যাট হাতে রান করে ম্যাচ জেতাতে পারবেনা (হাসি)।’
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রিস্টলে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির প্রথম জয়। এরপর তার অধীনে এসেছে দেশের ক্রিকেটের মোড় ঘুরে যাওয়া অনেক জয়।
বিশেষ করে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল, প্রথম কোন বহুজাতিক সিরিজের শিরোপা জয় অন্যতম। আছে ঘরের মাঠে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজ জয়।