করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে স্পেন। মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন শত শত মানুষ। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
পুরো দেশ লকডাউন করা হয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো স্পেনের সবধরনের ফুটবল স্থগিত করা হয়েছে।
বন্ধ রয়েছে লা লিগা। কোপা দেল রে’র দশাও একই। অন্যদিকে স্থগিত রয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগও।
ফলে বার্সার আয়ের পথও আপাতত বন্ধ। এ অবস্থায় খেলোয়াড়দের বেতন থেকে একটা অংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বার্সেলোনা। কিন্তু বেঁকে বসেন ক্লাবের সিনিয়র ফুটবলাররা।
খেলোয়াড় ও বোর্ডের সদস্যরা বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কাতালান জায়ান্টরা।
করোনার কারণে ক্লাবের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে খেলোয়াড়দের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তমেউ।
তিনিই প্রথম মনে করিয়ে দেন এভাবে চলতে থাকলে চলতি মৌসুমের সব খরচ বহন করা ক্লাবের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে। এরপর বেতন কাটাই সেরা উপায় হিসেবে দেখা শুরু হয়।
শুরুতে মোট বেতনের ৭০ শতাংশ কেটে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে প্রস্তাব নাকচ করে দেন খেলোয়াড়রা।
বেতন কাটা নিয়ে মেসিদের আপত্তির মুখে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় বার্সার মালিকপক্ষ। কিন্তু এরপর সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে খোদ ফিফা।
ফিফা চায় ফুটবল টুর্নামেন্টগুলো যতদিন স্থগিত থাকবে ততদিন খেলোয়াড়দের বেতনের অর্ধেক কেটে রাখা হোক।
ফিফার কথার সাথে তাল মিলিয়েই মেসি-পিকেদের বেতন কাঁটা হচ্ছে তা এক প্রকার নিশ্চিত।
পেপারস লাইফ/স্পোর্টস ডেস্ক