ডাচদের কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে মেসিরা


ডাচদের কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে মেসিরা


 নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।

মেসিদের ছাপিয়ে এই ম্যাচের নায়ক বলা যায় আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজের দৃঢ়তায় ৪-৩ ব্যবধানের জয়ে সেমিফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ ব্যবধানে সমতায় শেষ হয়।

শুরু থেকে ম্যাচের হাল আর্জেন্টিনার হাতেই ছিল। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ডি পলের দুর্বল শট রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক। এর ঠিক ১ মিনিট পরেই আসে কাঙ্ক্ষিত সেই গোল। মাঝমাঠ থেকে বল একাই টেনে নিয়ে যান মেসি। ডি বাইরে বাইরে থেকে তিন ডিফেন্ডারের পায়ের মাঝ দিয়ে দর্শনীয় এক পাস দিলে মলিনা সেটিকে কোন রকম কার্পণ্য না করে গোলে পরিণত করেন।

আরও পড়ুনঃ ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের সোয়া কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে: ডব্লিউএইচও

এর পর ৭২ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর আকুনাকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। স্পট কিক থেকে পেনাল্টিতে গোল করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। এবারের বিশ্বকাপে এটি তার ৪র্থ গোল এবং সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে এটি তার ১০ম গোল।

৮৪ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে ডাচদের হয়ে হেডে গোল করেন বদল হিসেবে নামা উইঘোর্স্ট।

এক গোল শোধ দিয়ে আরও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ডাচরা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল হতে আর মাত্র ১ মিনিট দূরে আর্জেন্টিনা। এমন সময়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক অয়ায় নেদারল্যান্ডস। দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি কিক থেকে গোল করব ডাচদের ঐতিহাসিকভাবে ম্যাচে ২-২ গোলে সমতায় ফেরান উইঘোর্স্ট। ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে।

নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে সমতায় থেকে শেষ হয়৷ অতিরিক্ত সময়েও গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। এর পরের গল্পটা অনেকটা সহজভাবেই এগোয় মেসিদের। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপের পর ফের সেমিফাইনালে উঠলো দলটি।