ওরা দেশে ফিরেছে। বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা নিয়ে পা রেখেছে বাংলাদেশের মাটিতে। বিশ্ব জয় করা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে তাই বরণ করে নেওয়া হয়েছে রাজকীয় বেশে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো বিশ্বজয়ের শিরোপা দেশে এসেছে, আর চেয়ে আর কি-ই বা করার থাকে।
এমন উচ্ছাসে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে উনিশ না পেরোনো যুবাদের। বিকেলে দেশে ফিরে আসা দলটিকে ফুল দিয়ে, মিষ্টি মুখ করে নিয়ে আসা হয় মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে।
বিশ্বকাপজয়ী যুবাদের দেখতে মিরপুরে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামায় ক্রিকেটারদের লাল গালিচা সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হয় শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। মাঠের মধ্যে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়। রাখা হয় বিশ্বকাপের ট্রফি। পেছনে রাখা হয় বিশ্বকাপজয়ী টাইগারদের ছবি সম্মলিত একটি ব্যানার।
সব কিছু নিয়ে উচ্ছাস থাকে, দিন শেষে থাকে পরিণতি। কেমন হতে যাচ্ছে বিশ্ব জয় করা যুবাদের ভবিষ্যৎ?
কোনো সাফল্যের পর বড় উপহার দেওয়া বিসিবির প্রথাগত বৈশিষ্ট। ফ্ল্যাট, বাড়ি, গাড়ি দিয়ে মুড়ে দিয়ে খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার উদাহরণ নেহাতই কম নয়। তাই বিশ্বসেরাদের নিয়ে কি করে বিসিবি, জানার কৌতূহল ছিল।
বিসিবি অবশ্য প্রথাগত পথে পা বাড়ায় নি এবার। সুদূরপ্রসারী চিন্তায় উনিশ না পেরোনো ছেলেদের নিয়ে করেছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
এই যুবকদের নিয়ে তৈরি হবে অনূর্ধ্ব-২১ দল। আগামী দুই বছর তাদের নিয়ে চলবে ক্যাম্প। ওরা যেন হারিয়ে না যায়, খেলার মধ্যে থেকে জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত হতে পারে- সেই জন্যই বিসিবির এমন সিদ্ধান্ত। জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
শুধু তাই নয়, এই দুই বছর ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়রা পাবেন বেতন। প্রতি মাসে যা এক লাখ টাকা।
আকবর, সাকিব, শরিফুল, ইমন, তামিম, জয়, শামিম, শাহাদাত, রকিবুল, মুরাদ, অভিষেক প্রত্যেকেই এক একটা ভবিষ্যৎ। তাদের হারিয়ে যেতে না দিয়ে, নতুন পরিকল্পনায় তাদের ভবিষ্যৎ আরো সুদৃঢ় করার চিন্তা করার জন্য বিসিবিকে সাধুবাদ দিতেই হয়। এবার কেবল পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের অপেক্ষা।