দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও চলছে ত্রাণ বিতরণ।
কিন্তু কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, বেশিরভাগ ত্রাণ কার্যক্রমেই সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। সেখানে দেখা যাচ্ছে না ব্যক্তিগত সুরক্ষা। হুড়োহুড়ি ও প্রচার সর্বস্ব এসব ত্রাণ কার্যক্রম করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে ‘দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটি’র মতো অনেক সংগঠন আছে যারা ত্রাণ কার্যক্রমে সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। তারা দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবে ২৫ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
এরই মধ্যে প্রদানের মাধ্যমে দেশের ৭টি জেলা জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, বগুড়া, বরিশাল, ফরিদপুর ও কক্সবাজার জেলায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
‘দোস্ত এইড বাংলাদেশ’ সোসাইটির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ছোটন, আসলে আমরা চাই মানুষের পাশে দাঁড়াতে। এই দুর্যোগের সময় হাতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে।
তবে সেক্ষেত্রে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকিকেও গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। আর তাই আমাদের প্রত্যেকটি কার্যক্রমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে। যাতে ত্রাণ কার্যক্রমে হুড়োহুড়ির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই এ সংকটে যারা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, সকলেই যেন সুরক্ষায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাহলেই ত্রাণ কার্যক্রমের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সফল হবে।’