আড়ংয়ে কেনাকাটার জন্য একজন ক্রেতা সময় পাবেন একঘণ্টা। আগামীকাল রোববাের (১০ মে)থেকে অনলাইনে নাম নিবন্ধন করেই একজন ক্রেতা আড়ংয়ে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।
(৯মে) শনিবার ব্র্যাক সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তামারা আবেদ অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা অনলাইন বুকিং সিস্টেম চালু করেছি। যতজন ক্রেতাকে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারবো ততটুকু স্লট কিন্তু আমরা অনলাইনে বরাদ্দ রেখেছি।
শপিংয়ে আসার আগে অনলাইনে গিয়ে আউটলেট সিলেক্ট করে টাইম স্লট বুক করতে হবে। বুকিং কনফারমেশন হিসেবে মোবাইলে এসএমএস আসবে। ওই মেসেজ আড়ং আউটলেটে প্রবেশের সময় দেখাতে করতে হবে। তাছাড়া প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রার মাপার ব্যবস্থা তো থাকছেই।’
টাইম স্লট নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এক একটি আউটলেটের বর্গফুট অনুযায়ী সাইজ ৩ ফুট মেইন্টেইন করে এক একটি আউটলেতে কত বর্গফুট জায়গা আছে তা হিসাব করে, কতজন লোককে ধারণ করা যাবে সেটা নির্ধারণ করেছি। সেখান থেকে বাদ দিয়েছি আমাদের স্টাফ কতজন থাকবে সেই সংখ্যা।
সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা এই সময়টিকে আমরা ঘণ্টা হিসেবে ভাগ করেছি। আমাদের হাতে প্রতিদিন আছে ৬টি স্লট। প্রত্যেক ক্রেতাকে আমরা এক ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এছাড়া বিভিন্ন সেকশনে আমরা নির্দিষ্ট দূরত্বে লাইনে দাড়িয়ে সামগ্রী নেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছি।
যদি কোনও সেকশনে লোক বেশি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে সেখান থেকে দু’জন করে বের হওয়ার পর আরও দু’জন করে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। আউটলেটের ভেতরে নির্দিষ্ট সেকশনে যাতে অতিরিক্ত লোক সমাগম না হয় আমরা সেই ব্যবস্থাও নিয়েছি। আপাতত ট্রায়ালরুম বন্ধ থাকবে। ক্রেতারা পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন।
পরিস্থিতি একেবারের নরমাল হয়ে গেলে সেই সুযোগ পাবেন তারা। তখন থেকে ৩০ দিন সময় পাবেন এখনকার কেনা পণ্য পরিবর্তন করার।’
তিনি বলেন, ‘২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার আগে আমরা পহেলা বৈশাখের সামগ্রী কিনে নিয়েছিলাম। বাকিতে কোনও সামগ্রী কারও কাছ থেকে আমরা নেই না। শতভাগ টাকা পরিশোধ করে পণ্য কেনা হয়েছে। বৈশাখের সামগ্রী ১৪ এপ্রিলের মধ্যে বিক্রি হলে আমাদের স্টকরুম খালি হয়। এরপর ঈদের মাল আমরা নিতে থাকি।
এর মধ্যে যারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আছেন, তারা তো তাদের পুঁজি বিনিয়োগ করে মাল কিনে তারপর আড়ংয়ের সামগ্রীগুলো তৈরি করেন। আপনারা জানেন আমাদের বাৎসরিক আয়ের ৪৫ শতাংশ পণ্য বিক্রি থেকে আসে।
যা পহেলা বৈশাখ ও রোজার ঈদে বিক্রি হয়। হঠাৎ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণায় পণ্য উৎপাদকরা তাদের পণ্য আমাদেরকে সরবরাহ করে টাকা পাওয়ার সুযোগ পায়নি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পুঁজি পুরোটা তুলে আনার তেমন কোনও সুযোগ না থাকায় অল্প পরিসরে আমরা যদি কিছু মাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে আমরা আগামীতে তাদের আরও কাজ দিতে পারবো।
এখন যেই মাল থেকে যাবে এটা কিন্তু আগামী ৬-৭ মাস লেগে যাবে বিক্রি করতে। আবার মাল যদি আমরা বিক্রি করতে না পারি তাহলে আমাদের স্টোরেও জায়গা হবে না। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পণ্যসামগ্রী স্যানিটাইজ করা থাকবে নাকি এমন প্রশ্নের উত্তরে তামারা বলেন, ‘আমাদের এখানে যারা প্রবেশ করবেন তারা তো অবশ্যই মাস্ক পরে, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করে প্রবেশ করবেন।
আর আমাদের মালপত্র তো এখনও কেউ ধরেনি। হ্যান্ড স্যানিটাইজ করে ঢুকে হয়তো কিছু প্রোডাক্ট নাড়াচাড়া করবেন, পণ্য কিনবেন এবং বের হয়ে যাবেন।