প্রতি বছর দিনাজপুর ও গাজীপুরের শ্রীপুরে এমন সময়ে পাইকারি ক্রেতারা এসে গাছ হিসেবে লিচু কিনে নেন। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে তাদের দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ৪ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার ৪১৮টি লিচুর বাগান রয়েছে। বাগান ছাড়াও কিছুসংখ্যক বাড়ি, বাড়িসংলগ্ন ভিটা জমিতে দু-চারটি করে লিচু গাছ রয়েছে। দিন দিন লিচুর ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এ জেলায় লিচু চাষ বাড়ছে।
স্থানীয় লিচু চাষীরা জানান, সদর, কাহারোল, বিরল, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ, খানসামা, পার্ববতীপুর ও বিরামপুরে এবার লিচুর ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এসব এলাকার বাগানগুলোয় লিচুর গুটির ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। চলতি মাসের শেষ দিকে লিচু বাজারে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এমন ফলনের আনন্দ নষ্ট হতে বসেছে ক্রেতা সংকটে। করোনার কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা এখনো লিচু কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
খানসামা উপজেলার লিচু বাগানের মালিক মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, এবার লিচুর ফলন ভালো হবে। সাধারণত প্রতি বছর এ সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ব্যবসীয়ারা গাছের লিচু কিনে নেন। কিন্তু করোনার প্রভাবে এখনো কেনাবেচা শুরু করা সম্ভব হয়নি। ক্রেতাও খুব কম। এখানকার লিচু সারা দেশে যায়। কিন্তু পরিবহন বন্ধ থাকায় এবার পাঠানো যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।