২৮ বছর বয়সী এক যুবতী মানসিক অবসাদে ১৭ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরকমই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের নয়ডায়। জানা যায়, আত্মঘাতী যুবতী এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী। তাদের দেড় বছরের একটি সন্তানও রয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোররাতে সবার অলক্ষ্যে এই কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন ওই যুবতী। গ্রেটার নয়ডার বিসরাখ অঞ্চলের একটি বহুতল আবাসনের ১৭ তলা ফ্ল্যাটের বারান্দায় গিয়ে ঝাঁপ দেন তিনি। সে সময় তার ব্যবসায়ী স্বামী শিশুসন্তানকে নিয়ে গভীর ঘুমে ছিলেন। আবাসনের সিকিওরিটি ওপর থেকে কিছু পড়ার শব্দ শুনে ছুটে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্বামীকে খবর দেন। এর পর থানায় ফোন করলে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
ওই যুবতীর পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, মানসিক কিছু সমস্যা ছিল তার। গত কয়েক বছর ধরেই বিষণ্নতায় ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট মেলেনি। পুলিশ সূত্র জানায়, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোনও সম্ভাবনা তদন্তকারীরা দেখছেন না। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
তিন দিন আগেই গ্রেটার নয়ডার বিসরাখ অঞ্চলের এক আবাসনে বছর ৪৪-এর আরও এক মহিলা গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ওই মহিলার স্বামীও গত মার্চ মাসে আত্মহত্যা করেছিলেন। তার পর থেকেই মহিলা ডিপ্রেশনে চলে যান।
গত শুক্রবারই নয়ডার ৯ মাসের সন্তান রেখে সস্ত্রীক আত্মঘাতী করেছেন এক বহুজাতিক সংস্থার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ইন্দিরাপুরমের ফ্ল্যাট থেকে শনিবার ভোররাতে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা হয়েছে, ওই দম্পতি শুক্রবার রাতে আত্মহত্যা করেছেন। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত করে কিছু বলছে না।
সুত্র: এই সময়।