নিজের ছোট ভাই ও একান্ত সহকারী সচিব মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আজ রোববার (১৯ জুলাই) বাদ আসর কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট ছেলে রিয়াজ আহমেদ তুষার।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় প্রয়াত আবদুল হাইয়ের সাবেক কর্মস্থল মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন চমকপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইয়াকুব আলী বরণী।
জানাজায় আরও অংশ নেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম. এ আফজল, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উমান খান এবং স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুলিশের একটি দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। তার কফিনে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই।