সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের জাতীয় পর্যায়ে টেরোরিস্ট অ্যালার্ট তৈরি করছে বাংলাদেশ। আর এতে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে প্রকাশিত ‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেরোরিজম-২০১৯’-একথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত বছরের তুলনায় ২০১৯ সালে কিছুটা বেড়েছে সন্ত্রাসী কার্যক্রম। তবে বাংলাদেশে যেসব সন্ত্রাসী অবস্থান করছে তাদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট অব আইএস বা অন্যান্য বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যোগাযোগ নেই বলে দাবি বাংলাদেশ সরকারের।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় চরম ঘাটতি থাকার কারণে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত মামলাগুলোও জমে রয়েছে। এতে করে শাস্তি দেয়ার ঘটনা ১৫ শতাংশেরও কম।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এ প্রতিবেদনে বলা হয়, নকল পিস্তল নিয়ে বিমান ছিনতাই করতে চেয়েছিল এক ব্যক্তি এবং বেশ কয়েকবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগও নিয়েছে যাত্রী এবং বহিরাগতরা। যদিও সীমান্ত এবং স্থল ও বিমানবন্দরে যাতায়াত বা নিরাপত্তা ব্যবস্থাও শক্তিশালী করার জন্য সহায়তা করছে ওয়াশিংটন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিস্ফোরক শনাক্তকারী ‘কে-৯’ টিম শাহজালাল বিমানবন্দরে টহল দিলেও তাদের অবস্থান কার্যকরী নয় বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে।
আরো বলা হয়, ২০১৯ সালে উগ্রপন্থীরা ছয়টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং এর মধ্যে একটি সরকারি দল আওয়ামী লীগের খুলনা অফিসে বিস্ফোরিত হয়। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে এবং এসব হামলার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক জঙ্গি আইএস।
এই ধরনের ঘটনাকে অনেকে সাজানো এবং মিডিয়া ঠিকমতো প্রকাশ করে না বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।