ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফা করায় দেশি-বিদেশি আরও ছয় ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার রাতে এসব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চিঠি পাঠিয়েছে।
ব্যাংকগুলো হলো বিদেশি এইচএসবিসি এবং দেশি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), এনসিসি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিটি ব্যাংককে পাঠানো চিঠিতে অতি মুনাফার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোনো কোনো ব্যাংককে ঘোষিত দামের সঙ্গে প্রকৃত দামের মিল না থাকা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন পোর্টালে নিয়মিত দাম ঘোষণা না করা, ঘোষিত দামে রপ্তানি ও আমদানিতে ডলারের মূল্য নির্ধারণ না করায় ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ব্যাংকের প্রশ্নফাঁস
এর আগে একই কারণে বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকসহ দেশি প্রাইম, ব্র্যাক, দি সিটি, ডাচ্-বাংলা ও সাউথইস্ট ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংকের এমডিদেরও তখন নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ইস্টার্ণ ব্যাংকের কাছেও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
কয়েক মাস ধরেই ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছে। ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। ইতিমধ্যে প্রতি ডলারের দাম ৮৬ থেকে বাড়িয়ে ৯৫ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আমদানিতে ডলারের দাম ১০৫-১০৬ টাকায় উঠেছে। ফলে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। যা প্রকারান্তরে ভোক্তাদের ওপর গিয়ে পড়বে। কারণ, আমদানি খরচ বাড়লে পণ্যের দাম বাড়ে। তখন ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়।
এদিকে ডলার বিক্রি করায় বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩৯ বিলিয়ন তথা ৩ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের নিচে নেমেছে। বুধবারও বিক্রি করা হয়েছে ৫ কোটি ডলার। এতে রিজার্ভ কমে হয়েছে ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি ডলার।