দেশের দুই কোটির বেশি মানুষ পুরোপুরি নিরক্ষর


দেশের দুই কোটির বেশি মানুষ পুরোপুরি নিরক্ষর


দেশের দুই কোটিরবেশি মানুষ এখনো পুরোপুরি নিরক্ষর। এই বৃহত জনগোষ্ঠীর বয়স ১৫ বছরের বেশি।কত সালের সাক্ষরতা দিবসে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব হবে তা সত্যই অজানা।

দেশের নানাবিধ সমস্যা উপরে আবার করোনা প্রকোপ। যে কারণে এ বছর সাক্ষরজ্ঞান পুরোপুরি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি বেড়েছে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার আশঙ্কাও।

সাধারণত সাক্ষরজ্ঞান বলতে বোঝায়, যারা মাতৃভাষায় পড়তে ও লিখতে পারে। মনের ভাব লেখায় প্রকাশ করতে পারে এবং দৈনন্দিন কাজের হিসাব-নিকাশ করতে পারে।সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ হলেও এখনো প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে একজন নিরক্ষর। ফলে এই হার নিয়ে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। সর্বশেষ গত সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। গত ১০ বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্মকর্তারা বলছেন, নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন করে তুলতে দেশে এখন একটি প্রকল্প চলছে। এর আওতায় ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ মানুষকে সাক্ষরজ্ঞান দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে করোনার পর সারা বিশ্বের প্রায় এক কোটি শিশু স্কুলে ফিরবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।