হালনাগাদ করা হয়েছে রাজধানীর ৪৫ এলাকা নিয়ে করা রেড জোন তালিকা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে এসব কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, নতুন গাইডলাইনে তালিকা পেতে লেগে যাবে আরও অন্তত ২ সপ্তাহ। ততদিনে ওয়ারী এবং উত্তরায় পরীক্ষামূলক লকডাউনে যেতে চায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ১৪ জুন রাজধানীতে এমন ৪৫ এলাকা চিহ্নিত করে তালিকা দেয় জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি। বাস্তবায়নে থাকবে সিটি করপোরেশন। কিন্তু আক্রান্তের অবস্থান ধরে সুনির্দিষ্ট ম্যাপ চায় দুই মেয়র।
দুই সপ্তাহ হয়ে যাচ্ছে তবুও তৈরি হয়নি সেই ম্যাপ। শেষে ওই ম্যাপিং ছেড়ে রেডজোনের নতুন গাইডলাইন আর তালিকা হালনাগাদের ঘোষণা দিলো অধিদফতর। বিধিনিষেধে আসছে বড়সর পরিবর্তন।
জোন, তালিকা, বিধি-নিষেধ আর গাইডলাইনের এই চক্করে বিভ্রান্ত ঢাকাবাসী। এরআগে করোনার বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের চিন্তা করে সরকার। এক্ষেত্রে সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকাকে গ্রিন, ইয়েলো ও রেডজোনে ভাগ করে আংশিক অথবা পুরোপুরি লকডাউন করার পরিকল্পনা করা হয়।
ঢাকার ৩৮ এলাকা আংশিক লকডাউনের তালিকা সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়, যা পরে সরিয়ে ফেলা হয়। তখন সরকারি ওয়েবসাইটে ৫০ জেলা পুরোপুরি ও ১৩ জেলা আংশিক লকডাউনের তালিকা প্রকাশ করে।
এরপর গত ১৪ জুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের বেশকিছু এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫টি এলাকা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একাধিক ওয়ার্ড এবং এর বাইরে আরও তিন জেলার বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ম্যাপ ছিল না দুই সিটি করপোরেশনের কাছে। তালিকার ডাটাবেইজে বেশিরভাগেরই ছিল না স্পষ্ট ঠিকানা। এরকম পরিস্থিতিতে আবার ঢাকার রেড জোন চিহ্নিত ৪৫ এলাকার তালিকা হালনাগাদ করা হল।