চলতি বছর দেশে নিপাহ ভাইরাসে শনাক্ত হয়ে ৫ জন মৃত্যুর পর রাজধানীর মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোডিড-১১ হাসপাতালটি প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই মধ্যে ডিএনসিসি হাসপাতালে ১৫ শয্যার আইসিইউ ও ১০ শয্যার আইসোলেশন প্রস্তুত করা হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দেশে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ বেডের আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।’ পাশাপাশি চিঠিটিতে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের সেবা দেওয়ার সময় চিকিৎসকদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন :
এব্যাপারে ডিএনসিসি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শফিকুর রহমান আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০টি শয্যা প্রস্তুতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ শয্যার আইসিইউ ও ১০ শয্যার আইসোলেশন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ‘২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশের ৩৩ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৯ জন রোগটিতে সংক্রমিত হয়েছেন। যার মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।’
এদিকে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০০১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের ৩৩ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এই সময়ে ভাইরাসটিতে শনাক্ত হয়েছেন মোট ৩২৫ জন। এই ৩২৫ জনের মধ্যে মারা গেছেন ২৩০ জন। মৃত্যু হার ৭১ শতাংশ।