করোনাভাইরাসের কারনে সৃষ্ট চীনবিরোধী মনোভাব কাজে লাগিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ভারতের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প মন্ত্রী হারসিমরাত কৌর বাদল বলেছেন, ‘প্রধানত পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে। তারা প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের বিকল্প বাজারের সন্ধানে রয়েছে। সরকার ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সহায়তা দিচ্ছে।’
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ ভারত। তবে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতে দেশটি বেশ পিছিয়ে রয়েছে। হিমাগারস্বল্পতার মতো অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে দেশটিতে মোট উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের মাত্র ১০ শতাংশই প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ভারতের বেশ কয়েকটি ব্যবসা খাত সংকটে রয়েছে। এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ বাড়াতে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া ২০২২ সাল নাগাদ দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চীনের বিকল্পের সন্ধানে থাকা বাজারগুলোয় প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানি করতে পারলে তা প্রধানমন্ত্রীর এ প্রতিশ্রুতি রক্ষায়ও সহায়ক হবে।
হারসিমরাত কৌর বলেছেন, ‘বাজারগুলোর চীনবিরোধী মনোভাবের কারণে ভারতের সামনে সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমি আমাদের প্রক্রিয়াজাত ও মূল্য সংযোজিত পণ্যের রফতানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি। আমরা হিমায়িত খাদ্য ও ইনস্ট্যান্ট পণ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো চিহ্নিত করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, ভারত অর্গানিক ফুডের একটি বড় উৎস। এ কারণে রফতানির বাজারে দেশটির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, যা এখনো কাজে লাগানো হয়নি।