যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় তরুণরাই বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশেষজ্ঞ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এপ্রিল এবং মে মাসের শুরুতে করোনায় আক্রান্ত বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। কিন্তু এখন উল্টো। তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। যাদের বয়স ২০ থেকে ৪৪। তাদের অনেকের কোনো উপসর্গ নেই। কিন্তু পজেটিভ। তারা সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর ভাইরাস ছড়াচ্ছে।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ৪২ হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় সংক্রমণরোধে বিভিন্ন রাজ্যে আবারো আরোপ করা হচ্ছে বিধি-নিষেধ। এদিকে, মার্কিনদের ইউরোপ ভ্রমণে ইইউ নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
শুক্রবার (২৬ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রায় ১০ হাজার ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। জুনের মাঝামাঝি থেকেই প্রতিদিন শনাক্তের নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে অঞ্চলটি।
এদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাসেও। অধিকহারে পরীক্ষা আর গণসংক্রমণ; আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ বলে মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার কয়েকটি কাউন্টিতে ঘরে থাকার নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে প্রশাসন। জোর দেয়া হচ্ছে মাস্ক ব্যবহারের উপর। ইতোমধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ফ্লোরিডার রেস্তোরাঁ ও পানশালাগুলো।
আক্রান্ত বাড়ছে সাউথ ক্যারোলাইনা, আরকানসাস এবং উটাহ অঙ্গরাজ্যেও। এরমধ্যেই করোনার উর্ধ্বগতিরোধ করতে না পারায় মার্কিনদের ইউরোপ ভ্রমণে ইইউ নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।