দেশে করোনা প্রকোপের কারণে সরকার এনজিও কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করলেও এবার সাত শর্তে এনজিও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আদেশ জারি করেছে।
এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি।
আদেশের কপি দেশের সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে। সেইসাথে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আইন, ২০০৬ এর ধারা ৯ (চ) ও ধারা ৪৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
যে সাত শর্তে পরিচালনা করা যাবে এনজিও কার্যক্রম-
১. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনাসমূহ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
২. কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম ছাড়া দর্শনার্থী বা সাক্ষাৎ প্রার্থীদের অফিসে আসা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অফিসে উপস্থিত সবার মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. উঠান বৈঠক পরিহার করে ২ নং ক্রমিকে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণের পাশাপাশি যথাসম্ভব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গ্রাহক পর্যায়ে সেবা প্রদান করতে হবে।
৪. নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে অফিসে অবস্থান না করা এবং প্রয়োজন ছাড়া কর্মী অফিসে উপস্থিত থাকা হতে বিরত থাকতে হবে।
৫. অফিসে উপস্থিত সবাইকে জীবাণুমুক্ত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৬. মহানগর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক লকডাউন ঘোষণাকৃত এলাকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ওই এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৭. সরকার কর্তৃক সময়ে ঘোষিত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে জরুরি ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা, জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহকের সঞ্চয় ফেরত, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে রেমিটেন্স সেবা প্রদান, এজেন্ট ব্যাংকিং এর কার্যক্রম পরিচালনা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের মতো জরুরি কার্যক্রমসমূহের পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে।
এছাড়া এসময়ে দেশে বোরো ফসল কাটাসহ নতুনভাবে চাষাবাদ সম্পন্ন করা অশস্য কৃষি উদ্যোক্তাদের (মৎস্য, লাইভস্টক, পোলট্রি ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট) নতুনভাবে বিনিয়োগ এ অবস্থায় বর্ণিত খাতসমূহে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণ অব্যাহত রাখা জরুরি মর্মে প্রতীয়মান হয়।