গত বছরের শেষদিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। এরপর সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়েছে।
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার ৬১৩ জন। মারা গেছেন ৫ লাখ ১ হাজার ৩০১ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে শেষ দশ লাখ আক্রান্তের তালিকায় যোগ হতে সময় লেগেছে মাত্র ৬ দিন। যেখানে প্রথম দশ লাখে পৌছতে সময় লেগেছিল ৯৪ দিন।
এছাড়া ১ও থেকে ২০ লাখে পোঁছতে ১৩ দিন, ২১ থেকে ৩০ লাখে ১২ দিন, ৩০ থেকে ৪০ লাখে ১২ দিন এবং ৪০ থেকে ৫০ লাখে পৌঁছতে সময় লাগে ১১ দিন।
২০ মে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়ায়। এর পরের ৫০ লাখ মানুষের আক্রান্ত হতে সময় লাগে মাত্র ৩৮ দিন।
যেখানে ৫০ থেকে ৬০ লাখে পোঁছতে ৯ দিন, ৬০ থেকে ৭০ লাখে পৌঁছতে ৯ দিন, ৭০ থেকে ৮০ লাখে পৌঁছতে ৭ দিন, ৮০ থেকে ৯০ লাখে ৭ দিন এবং সব শেষ ৯০ লাখ থেকে ১ কোটিতে পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র ৬ দিন।
এ ভাইরাসের দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কেননা, ইউরোপের কিছু দেশেও ফের ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে চীন জপানেও।
তবে বর্তমানে এর প্রকোপ চলছে আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়।
এমন পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সব দেশের প্রতি এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ দ্বিগুণ জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেডরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। বিশেষ করে দুই আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সতর্ক করেছেন তিনি।
এদিকে লকডাউন শিথিলের পর থেকে ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। শনিবার দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়ায়।
ভারতে শেষ এক লাখ সংক্রমণে সময় লেগেছে মাত্র ছয় দিন! সংক্রমণ বাড়ছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও।