করোনার ধাক্কায় মুকেশ আম্বানিকে সরিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী জ্যাক মা


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24, prosenjit bangla movie, jeeter bangla movie, songsar bangla movie, bengali full movie, bengali movies 2019, messi vs ronaldo, lionel messi stats, messi goals, messi net worth, messi height


নভেল করোনাভাইরাস ও জ্বালানি তেলের পড়তি দামের কারণে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশের মোট সম্পদের পরিমাণ একদিনে কমে গেছে ৫৮০ কোটি ডলার। এতে মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের পরিমাণে জ্যাক মার চেয়ে ২৬০ কোটি ডলার কমে গেছে। ফলে শীর্ষ স্থান ফিরে পেয়েছেন ইকমার্স জায়ান্ট ‘আলিবাবা’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা।

আজ মঙ্গলবার ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার্স ইনডেক্সে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৮-র মাঝামাঝি একবার এশিয়ার শীর্ষ ধনীর শিরোপা খুইয়েছিলেন জ্যাক মা। মোট ৪ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার মূল্যমানের সম্পদের মালিক জ্যাক মা সেই হারানো শিরোপাই ফিরে পেলেন।

তিন দশকের মধ্যে তেলের দাম সর্বনিম্ন আর বিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে তীব্র আর্থিক মন্দার আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে। এতে মুকেশের মূল সংস্থা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ আর এক বছরের মধ্যে যাবতীয় ঋণের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এ জেরে রিলায়্যান্সের শেয়ারের দর পড়েছে হু হু করে। গতকাল সোমবার রিল্যায়েন্সের শেয়ারের দাম পড়েছে ১২ শতাংশ। ২০০৯ সালের পর এতোটা নামেনি এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

এদিকে দিনব্যাপী লেনদেনের শুরুতেই গতকাল সোমবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম এক ধাক্কায় সাড়ে ৩১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে নেমে আসে প্রতি ব্যারেল ৩১ ডলার ২ সেন্টে। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারির পর এবারই প্রথম এত বড় মাত্রায় দরপতনের মধ্য দিয়ে গেল পণ্যটি। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশ কমে নেমে  আসে প্রতি ব্যারেল ৩০ ডলারে। পরে মূল্য কিছুটা বাড়লেও তা একেবারেই সামান্য।

নভেল করোনাভাইরাস এবং জ্বালানি তেলের বাজারের ধস—এ দুয়ের যুগপৎ সংক্রমণে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে গতকাল দেখা দেয় টালমাটাল পরিস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল দিনব্যাপী লেনদেনের শুরুতেই ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ সূচকের পতন ঘটে ১ হাজার ৮০০ পয়েন্টেরও বেশি। এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচকের পতন ঘটে প্রায় ৭ শতাংশ।