আপনি প্রায়ই দেখেছেন যে আবহাওয়া পরিবর্তন হলে মানুষ অসুস্থ হতে শুরু করে। এটি ঘটে কারণ তাপমাত্রার পরিবর্তন বিভিন্ন গোষ্ঠীর ভাইরাসের বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি সরবরাহ করে, যার কারণে সংক্রামক রোগ ছড়াতে শুরু করে।
ভাইরাস পরিবারগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হল হিউম্যান রাইনোভাইরাস, যা ভাইরাল সংক্রমণের 40-45 টি ক্ষেত্রে দায়ী। এই ভাইরাস বসন্ত এবং শীতের মতো ঠান্ডা আবহাওয়ায় বৃদ্ধি পায়।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ফ্লু সৃষ্টি করে, যা শীতের মৌসুমে বাতাস ঠান্ডা ও শুষ্ক হলে ছড়িয়ে পড়ে।
মৌসুমি অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রীষ্মকালে পরাগ, ছাঁচ বা ঘাসের কাছাকাছি থাকলে নাক দিয়ে পানি পড়ে এবং চোখ চুলকায়। তাদের ইমিউন সিস্টেম এই অ্যালার্জেনের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, যা ব্যক্তিকে ভাইরাল আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?
কিছু সাধারণ সতর্কতা এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের সকলের জন্য মৌসুমী অসুস্থতা এড়ানো সম্ভব। কিভাবে সাবধান হতে হবে?
আরও পড়ুনঃ“গুজব সৃষ্টি করে নিরীহ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করছে বিএনপি”
আবহাওয়ার পরিবর্তন তার সাথে নিয়ে আসে নানা রোগ। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ করে মানুষকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- আবহাওয়া পরিবর্তনে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সুতি এবং পর্যাপ্ত পোশাক পরা উচিত।
- খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে, এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
- খাবারে মৌসুমি ফল ও সবজি ব্যবহার করতে হবে।
- ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন কমলা ও লেবু বেশি করে খাওয়া উচিত কারণ এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- ঠান্ডা খাবার খাওয়া অনেক সময় ভাইরাল ফিভারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গলা ব্যাথা হয় তাই আইসক্রিম ও কোল্ড ড্রিংকস থেকে দূরে থাকাই ভালো।
- এই মৌসুমে বাজারে পাওয়া খাবার যেমন পিৎজা, বার্গার, চাট, ভাজা খাবার, খোলা ফল ইত্যাদি খাওয়া উচিত নয়।
- একজনকে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
- পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
- সকালের হাঁটার পাশাপাশি যোগব্যায়ামও একটি ভালো ব্যায়াম।
- আবহাওয়া পরিবর্তন হলে কাশি ও ফুসফুসের রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এই সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের প্রতিদিন স্টিম গ্রহণ করা উচিত এবং লবণ
- মিশ্রিত হালকা গরম জলে গার্গল করা উচিত।
মনে রাখবেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে আপনি যদি কোনও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন তবে অনুগ্রহ করে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। নিজে থেকে ওষুধ খাবেন না।
পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় এই ছোটখাটো সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন। তাই নিজের যত্ন নিন এবং সবসময় সুস্থ থাকুন।